
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৯ এএম
মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্ত বৃথা যাবে না: মুফতি জসিম উদ্দিন

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪১ পিএম

আরও পড়ুন
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুফতি এবং মুহাদ্দিস মুবাল্লিগে ইসলাম আল্লামা জসিম উদ্দিন বলেছেন, মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যাবে না। বরং শহিদদের রক্তের পথ ধরেই বিজয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ গাজাবাসীকে হত্যা করেছে।
সোমবার বাদ জোহর হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে ডাক-বাংলো চত্বরে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা জসিম উদ্দিন বলেন, মূলত ইসরাইলি বর্বরতা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। গাজায় তাদের হামলা রীতিমতো যুদ্ধাপরাধের শামিল। বর্বর হামলার জন্য ইসরাইলি বাহিনীকে একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়া তিনি অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। অন্যথায় বিশ্ব মুসলিম কখনও ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।
হেফাজতের হাটহাজারী উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহ বলেন, মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনই মধ্যপ্রাচ্য সংকটের অদ্বিতীয় সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে; কিন্তু ইহুদিবাদী দখলদাররা ভূমিপুত্রদের সেখান থেকে উৎখাত করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও। এমনকি জায়নবাদী বর্বরতার শিকার হচ্ছে মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই ইহুদিবাদীদের এই নির্মমতার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মোরশেদ আলম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন- নেজামী ইসলামী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী, হেফাজতের কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, মাওলানা মীর লোকমান আলী, মোহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা ওজাইর আহমদ হামেদী, মাওলানা মিজান ইবনে আলী, নূর মুহাম্মদ, মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ, হাফেজ মহিউদ্দিন, হাফেজ শফিউল বশর, আবু তাহের রাজিব, মাওলানা জিয়াউল হক, এইচ এম শহিদ, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম ও মাওলানা ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে হেফাজতের নেতাকর্মী ও হাজার হাজার তৌহিদী জনতার অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ডাক-বাংলো চত্বর থেকে বের হয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়কসহ পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।