
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
স্ত্রীর দাবি দেবরদের লাঠির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু, বাবার অস্বীকার

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম

আরও পড়ুন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাদুকা ব্যবসায়ী মিজান মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে নিহতের স্ত্রীর দাবি দেবরদের লাঠির আঘাতে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করেছেন নিহতের পিতা।
নিহত মিজান কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের চরেরকান্দা গ্রামের সেন বাড়ির মতি মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার মতি মিয়ার চার ছেলের মধ্য দীর্ঘদিন যাবত জায়গা-জমিসংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিজানের ছোট দুই ভাই রোমান ও রিপনের মধ্যে তাদের বসতবাড়ির পাশে একটি টয়লেট স্থাপন করাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় খবর পেয়ে মিজান স্থানীয় চকবাজার থেকে বাড়িতে ফিরে দেখেন তার দুই ভাই এ বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি করছে। বড় ভাই মিজান ছোট দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে চেষ্টা করলে হঠাৎ তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়েন।
তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়। তবে তার স্ত্রীর দাবি দেবরদের লাঠির আঘাতে মিজান মারা গেছে। এ অভিযোগ দেবররা অস্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
মিজানের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, সকালে আমার দেবর রিপন আমাদের ঘরের পাশে চাকতির টয়লেট বসানো নিয়ে রোমানের সঙ্গে ঝগড়া হয়। তখন আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। যখন বাড়িতে আসে তখন তাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে তাদের লাঠির আঘাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আমরা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান। তার দাবি আমার দুই দেবরের ঝগড়ার কারণেই আমার স্বামীর মৃত্যু হলো।
নিহত মিজানের বাবা মতি মিয়া বলেন, আমার চার ছেলে সবাই যার যার মতো করে ব্যবসা করে সংসার চালায়। ছোট ছেলে রিপন ও রোমান বাড়িতে একটি টয়লেট বসানো নিয়ে তাদের মধ্য ঝগড়া হয়। এ সময় আমার বড় ছেলে তাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে বাজিতপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে সে মারা যায়। দুই ছেলের লাঠির আঘাতে মিজান মারা গেছে- এ অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, তার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।