
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৪ পিএম
নিখোঁজের পাঁচ দিন পর অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার

যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ ঢাকা
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

আরও পড়ুন
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় শাহ আলম (৬৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের নিখোঁজের পাঁচ দিন পর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানা পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলমের বড় মেয়ে লাকির দাবি- তার বাবাকে প্রতিবেশীরা খুন করে লাশ গুম করেছিল।
নিহত শাহ আলম পার্শ্ববর্তী ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল গ্রামের রাস্তার পাশে মৃতদেহ পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা শেখরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ থানায় নিয়ে যায়।
এর আগে গত ২ এপ্রিল অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহ আলম। পরে তার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। সন্ধান না পেয়ে পরদিন নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক তাইজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে চালককে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে খারশুল এলাকায় ফেলে রেখে গেছে। ২ এপ্রিল থেকে অটোরিকশা চালক শাহ আলম নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় যেহেতু নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি হয়েছে, সেই থানাতেই মামলা দায়ের হবে।
রোববার দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপায়ের রাস্তার জন্য প্রতিবেশীরা মো. শাহ আলমকে মেরে গুম করেছিল।
আলমের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন সহজ-সরল মানুষ। ঈদের আগে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা কিস্তি তুলে একটি অটোরিকশা কিনেছে। তাকে যারা খুনে করেছে তাদের সঠিক বিচার ফাঁসি চান তিনি।
এদিকে নিহতের বড় মেয়ে লাকি আক্তার বলেন, আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য দুই পায়ের রাস্তার জন্য প্রতিবেশী আনসেস ও কালুর সঙ্গে কিছুদিন আগে আমার বাবার ঝগড়া হয়েছিল। আমাদের সন্দেহ আমার বাবাকে তারাই খুন করে লাশ গুম করে রেখেছিল। শনিবার রাতে খারশুল চকে লাশ ফেলে গেছে। কারণ শুক্রবার সারা দিন ওই চকসহ দোহার-নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের সব চক, বিল খুঁজেছি কিন্তু কোথাও আমার বাবার আহত বা নিহত লাশ দেখিনি। শনিবার রাতের কোনো এক সময় তারা এ লাশ এখানে ফেলে রেখে গেছে খুনিরা। আমরা এ খুনের সঠিক বিচার ফাঁসি চাই।
এদিকে অভিযুক্ত প্রতিবেশী আনসেস ও কালুর বাসায় গিয়ে তাদের ঘরে তালা ঝুলানো দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে মোবাইলেও যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।