
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৮ এএম
অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম

আরও পড়ুন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চিকিৎসকের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের কলাপাড়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া প্রসূতির নাম তামান্না বেগম (২৫) । তিনি উপজেলার চম্পাপুর
ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের রওসন মাতব্বরের স্ত্রী।
রোগীর স্বজনরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তামান্নাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসা
হলে প্রসবের ১৫ দিন বাকি থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানের জন্য অপারেশন থিয়েটারে
নিয়ে যায়। রক্ত সংগ্রহের আগেই ডা. পার্থ সমদ্দার ও ডা.মুনতাহা মারিয়াম মিতু অপারেশন
করে।
এ সময় তামান্নার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তারা তাকে বরিশালে রেফার্ড করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর স্বজনরা তাকে নিয়ে রওনা দেয়। কিছু সময় পর ওই ক্লিনিক থেকে ফোন
দিয়ে আমতলী হাসপাতালে চেকআপ করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরে রোগীকে আমতলী হাসপাতালে
নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
রোগীর স্বজনদের দাবি, রোগীকে মৃত দেখেই তারা ক্লিনিক থেকে দ্রুত বের
করে দিয়ে পালিয়েছেন।
প্রসূতির স্বজন মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ক্লিনিকের দালালেরা তামান্নাকে
এখানে নিয়ে আসে। তাদের ভুল চিকিৎসা কারণে আমার স্বজন মারা গেল। ক্লিনিকটির চিকিৎসকরা
কসাইয়ের মত রোগীদের সঙ্গে ব্যবহার করে। আমরা এসব চিকিৎসকের বিচার চাই।’
তামান্নার স্বামী রওসন মাতব্বর বলেন, ‘চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার
কারণে আমার স্ত্রীকে মরতে হলো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডা. পার্থ সমাদ্দার ও ডা. মুনতাহা মারিয়াম মিতুর
মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা তা রিসিভ করেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেএইচ খান লেলীন বলেন,
‘মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে চিকিৎসকের অবহেলা আছে কি না তা তদন্ত করা হবে।’
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ
পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’