
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৯ এএম
ধর্ষণের শিকার সেই জমজ শিশুর পরিবারের পাশে তারেক রহমান

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পিএম

নোয়াখালী জেলা আইনজীবী ফোরামের সংবাদ সম্মেলনে নেতারা।
আরও পড়ুন
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার ছয় বছরের জমজ দুই শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারকে আইনি সহযোগিতার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোয়াখালীর সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী কবির আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসাঈন বুলবুল, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি মোনাক্কেব বাহার, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাছান পলাশসহ ফোরামের অন্য আইনজীবীরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালি গ্রামের জমজ দুই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার নিউজ গণমাধ্যমে প্রচারের পর তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। পরে তার নির্দেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নোয়াখালীর ৭ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে আইনজীবীরা ভুক্তভোগী দুই শিশু, তাদের পরিবার, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও কবিরহাট থানার ওসিসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন।
তারা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করি এবং তাদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে এ ঘটনার বিচারকার্য শেষ হওয়া পর্যন্ত আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।
গত ২৫ মার্চ দুই বোন তাদের ঘরের পাশের রাস্তায় খেলা করছিল। ভিকটিমদের বাবা ঘরে বিশ্রামে আর মা রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকার সুবাদে ফরিদ নামে স্থানীয় এক কিশোর তাদের বড় মেয়েকে পাশের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টিনশেট ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে শিশুটির চিৎকার শুনে তার ছোট বোন মাকে গিয়ে বিষয়টি জানায়। তাৎক্ষণিক তার মা ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় শিশুটির ছোট বোনও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মা কারণ জানতে চাইলে সে জানায় গত ২৩ মার্চ বিকালে তার সঙ্গেও একই কাজ করেছে ফরিদ।
এ ঘটনা প্রকাশের পর স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত ফরিদকে (১৬) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।