
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৫ এএম
দৌলতদিয়া লঞ্চ-ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম

আরও পড়ুন
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হতে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ফিরছেন কর্মমুখী মানুষ। এর জেরে ভিড় বাড়ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চঘাটে। তবে নদী পারাপারের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না যাত্রীদের।
শনিবার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বেলা বাড়ার
সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। যাত্রীবাহী বাসের তুলনায় ফেরিঘাট প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ
অন্যান্য ছোটগাড়ির চাপ বেশি। ছোট গাড়ির জন্য যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ফেরির নাগাল পেতে
একটু বেশি সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে বাসে করে রাজধানীতে ফিরছেন শওকত আলী। বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা শওকত বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ
হয়ে যাওয়ায় ফিরে যাচ্ছি। পথে কোথাও কোনো ভোগান্তি হয়নি। ঘাটে বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে।
তবে সহজেই নদী পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যেতে পারব বলে আশা করছি।’
মাগুরা থেকে আসা সাভারের নবীনগরগামী যাত্রী রুমানা আক্তার বলেন, ‘রোববার সকালে
ডিউটিতে যোগ দিতে হবে। এ জন্য একদিন আগেই রওনা দিয়েছি। ঘাটের ব্যবস্থাপনা ও কঠোর নিরাপত্তা
ব্যবস্থা দেখে ভালো লেগেছে। কোন ভোগান্তি হয়নি।’
দৌলতদিয়া ৭ নাম্বার ফেরিঘাটে কথা হয় যশোর হতে আসা কাইয়ুম চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি গাজীপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। রাস্তায় সমস্যা না হলেও ঘাটে কিছু সময় বসে থাকতে হয়েছে।’
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট মালিক সমিতির দায়িত্বরত ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন
বলেন, ‘প্রতিটি লঞ্চে
আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী বোঝাইয়ের পর ছেড়ে দিচ্ছি। কোনো লঞ্চেই বাড়তি যাত্রী কিংবা
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।’
ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক তত্ত্বাবধায়ক শিমুল ইসলাম বলেন,
‘এ নৌরুটে ২০টি
লঞ্চ চলছে। শনিবার সকাল থেকে কর্মমুখী মানুষের চাপ দেখা যাচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত লঞ্চ
থাকায় সকল যাত্রী স্বস্তিতেই নদী পার হতে পারছে।’
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ
উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি যাত্রী
ও যানবাহন পারাপার নিয়োজিত রয়েছে। যানবাহনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাধারণ যাত্রীও
ফেরিযোগে নদী পার হচ্ছে।’
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকেই ঢাকামুখী
যাত্রীদের চাপ বাড়লেও ঘাটে কোনো প্রকার ভোগান্তি নেই। মানুষ সরাসরি ঘাটে এসে ফেরি ও
লঞ্চে নদী পার হতে পারছে। ঘাটের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ঈদের আগে থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা
জোরদার করা হয়েছে।’