
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৬ এএম
বাস টার্মিনালে নৌবাহিনীর অভিযান, পালাল টিকিট বিক্রেতারা

বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম

আরও পড়ুন
ঈদের ছুটি শেষে কর্মজীবনের তাগিদে রাজধানী ঢাকায় ফিরছে মানুষ। এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে বাড়তি ভাড়া আদায়ের। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বরগুনা পৌর বাস টার্মিনালে অভিযান চালিয়েছে নৌবাহিনী। অভিযানের সময় পালিয়ে যান বিভিন্ন পরিবহণের টিকিট বিক্রেতারা।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ঢাকাগামী যে
সকল যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন
নৌবাহিনীর সদস্যরা।
সরজমিনে দেখা যায়, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালে
যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এ সুযোগে ঢাকাসহ অন্যান্য দূরপাল্লার গন্তব্যের যাত্রীদের
কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া থেকে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
করছেন ঢাকাগামী পরিবহণের স্টাফরা।
সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাস টার্মিনালে হঠাৎ অভিযান পরিচালনা
করেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানের খবর পেয়ে কাউন্টার থেকে সটকে পড়েন বিক্রেতারা। ফলে
তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ আমলে
নিয়ে এবং বরগুনায় বাস মালিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অতিরিক্ত আদায়কৃত ভাড়া ফেরতের
ব্যবস্থা করেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
টার্মিনালে থাকা যাত্রীরা বলেন, ঈদ এলেই ভাড়া বেড়ে যায়। সাধারণত ৫০০
থেকে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত নন এসি বাসের ভাড়া থাকে। আর এসি বাসের ভাড়া নেওয়া হয় ৭০০ থেকে
৯০০ টাকা পর্যন্ত। তবে ঈদকে ঘিরে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
আসলে তারা ভাড়া কম রাখে।
ঢাকাগামী যাত্রী রাসেল বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া
আমি তাদেরকে মাত্র ১০০ টাকা কম নেওয়ার দাবি জানায়। কিন্তু তারা কম রাখতে পারবে না বলে
সাফ জানিয়ে দেয়। আমরা গরীব মানুষ অতিরিক্ত টাকা খরচ করার সামর্থ্য আমাদের নেই।’
অভিযান চলাকালীন ঢাকার উদ্দেশ্যে টিকেট সংগ্রহ করতে আসা সুবর্ণা আক্তার
নামে এক যাত্রী বলেন, ‘গতকাল টিকেট সংগ্রহ করতে এসে টিকেট পাইনি।
ওই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে ৮০০ টাকা করে ভাড়া নিলেও, আজকেও প্রায় একই পরিস্থিতি। বাধ্য
হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়েই টিকেট কিনতে হয়েছে।’
গ্রীনভিউ পরিবহণের যাত্রী মো. সাকিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘২৮০০ টাকা দিয়ে
দুটি টিকিট নিয়েছি। এখন শুনছি টিকিটের দাম এক হাজার টাকা। কিন্তু টাকা ফেরত চাইলে তারা
দিচ্ছে না।’
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অনিমেষ বিশ্বাস বলেন,
‘বিআরটিএ, পুলিশ
ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা অভিযানে গেলে তারা পালিয়ে
যায়। আমরা যাত্রীদেরকে বুঝিয়ে এসেছি তাদের টিকেট দিয়ে ভোক্তা অধিকার এ অভিযোগ জানাতে।’