
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
গানবাজনাকে কেন্দ্র করে ‘বিএনপির দুই গ্রুপে’ মারামারি, আহত ১০

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৬ এএম

প্রতীকী ছবি।
আরও পড়ুন
পটুয়াখালীর বাউফল সদর ইউনিয়নের কায়না গ্রামে মসজিদের পাশে গানবাজনাকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
গুরুতর আহতরা হলেন- সোহরাব হোসেন (৬৫), মো. ইউসুফ মৃধা (৪৮) ও তার ভাতিজা নাসির মৃধা (৩৫)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে কায়না জামে মসজিদের কাছে গানবাজনার আয়োজন করা হয়। ওই মসজিদের সাবেক সভাপতি চুন্নু মৃধার উদ্যোগে আয়োজিত গানবাজনা রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলে।
মসজিদের পাশে এ গানবাজনার আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই এলাকার মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। মসজিদের কাছে গানবাজনা না করার জন্য চুন্নু মৃধাকে অনুরোধও করেন তারা। কিন্তু তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি।
বুধবার সন্ধ্যার পরে গানবাজনার বিষয় নিয়ে সোহরাব মৃধা, ইউসুফ মৃধা ও নাসির মৃধার সাথে চুন্নু মৃধার তর্কবিতর্ক হয়।
এক পর্যায়ে চুন্নু মৃধার নেতৃত্বে দুলাল, লিটন, মজিবর, জসিম ও উজ্জলসহ ১০-১৫ জন তাদের ওপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হামলাকারী ও হামলার শিকার উভয় পক্ষই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চুন্নু মৃধা বলেন, আমি এলাকায় থাকি না। ঢাকা নয়াবাজারে প্লেনশীটের ব্যবসা করি। ঈদের বন্ধে বাড়ি আসি। আমি কেরানিগঞ্জ বিএনপির সদস্য। ঈদ উপলক্ষে এলাকায় গানবাজনার আয়োজন করি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে জিয়া পরিষদের সভাপতি আনিচ ভাই, হাজী পলাশ ভাই ও বগার নাঈম ভাই ছিলেন।
মূল বিষয় হলো- মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আমার এক ভাতিজি আমার পাঁচ বছরের মেয়ে মাসরুফাকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় দেলোয়ার মৃধার ছেলে সুমন আমার মেয়েকে মারার উদ্দেশ্যে তার গায়ে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আমি মেয়েকে চিকিৎসার জন্য বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসি। কারা কাদের সঙ্গে মারামারি করেছে আমার জানা নেই। পরে শুনেছি।
বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, গানবাজনার বিষয়টি শুনেছি। আবার একটি বাচ্চার গায়ে মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও শুনেছি। এখন কোন বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে তা নিশ্চিত না হয়ে বলতে পারছি না। কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।