
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ এএম
ছেলে সন্তানের পিতা হয়েছেন সেই পুলিশ সদস্য

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম

আরও পড়ুন
গাজীপুরের মৌচাকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য রনি ছেলে সন্তানের পিতা হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক ঘণ্টা পর পিতার দাফন করা হয়েছে তার পারিবারিক কবর স্থানে।
নিহত পুলিশ সদস্যের নাম রনি সিকদার (২৬)। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শাহানশাহগঞ্জ ছোনাট এলাকার জামাল সিকদারের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগর পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী রনি সিকদারের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় উপজেলার মৌচাক এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, পুলিশ সদস্য রনি সিকদারের স্ত্রী সুমি আক্তার অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার অস্ত্রোপচার করার জন্য ছুটি নিয়ে টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাওয়ার পথে কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় পৌঁছলে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা উল্টোপথে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই পুলিশ সদস্য। খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় হাইওয়ে পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রনির লাশ যখন বাড়িতে পৌঁছায় তখন তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে অস্ত্রোপচার করার জন্য জরুরিভাবে টাঙ্গাইল নিউ আয়েশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সোয়া ৮টায় ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন সুমি আক্তার। আর রাত ৯টার দিকে রনির জানাজার নামাজ শেষে সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
রনির বোন আঁখি আক্তার বলেন, রনি ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন কিন্তু ছেলের মুখটা দেখে যেতে পারলেন না।
গাজীপুর সদর জোনের সহকারী উপকমিশনার (এসি) দ্বীন এ আলম বলেন, তিনি আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ডেলিভারি হওয়ার খবর পেয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন। যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, রাতে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তার একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।