
প্রিন্ট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
আ.লীগ নেতার বাড়ি ভাঙচুর-আগুন, নেভাতে গিয়ে বিএনপি নেতাসহ আহত ৭

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৭ পিএম

আরও পড়ুন
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আগুন নেভাতে গেলে ওয়ার্ড বিএনপি নেতাসহ কয়েকজনকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার চরাঞ্চলের আজিমনগর ইউনিয়নের বসন্তপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিরামপুর থানার ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান জানান, দুপুরের দিকে সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় আহতরা হলেন- বসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আজিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির ২নং ওয়ার্ড সভাপতি আফজাল মৃধা (৬৭), একই এলাকার ফারুক (৪৭), নুর হাফেজসহ (২৫) সাতজন। আহতদের মধ্যে চারজনকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসা হয়। পরে ফারুক ও নুর হাফিজের অবস্থা গুরুতর হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাকি দুজনকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়। আরও কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
আহতরা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও তার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়। প্রতিবেশীসহ বিএনপির কয়েকজন আগুন নেভাতে গেলে দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, কুড়াল দিয়ে কোপ দেয় ও মারধর করে।
আহত নুর হাফেজ বলেন, চেয়ারম্যানের বাড়ির আগুন না নেভালে আমাদের বাড়িও পুড়ত। নেভাতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
ইউনিয়ন জামাতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ঈদের দিন আমার বাড়িতে সংগঠনের উপজেলা সভাপতিসহ অনেকে আসে। আমরা খাওয়া দাওয়া করি। সোমবার রাতেই আমাকে হুমকি দেয় কয়েকজন। আজ তাদের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের লোকজনকে কোপানো হয়েছে।
হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হান্নান মৃধা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুর রহমান তো আওয়ামী লীগের নেতা। সোমবার বিল্লাল চেয়ারম্যানের লোকজন আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে মিটিং করেছে বলে শুনেছি। আজ কে বা কারা আগুন দিয়েছে। আগুন নেভাতে গেলে আমার দলীয় লোকজন মার খেয়েছে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।