
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
ঈদের আগে চাকরি হারালেন রাসিকের ১২০ কর্মচারী

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম

আরও পড়ুন
ঈদের আগে চাকরি হারালেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১২০ জন অস্থায়ী কর্মচারী। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এক অফিস আদেশে রাসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব তৈমুর রহমান তাদের ছাঁটাই করেন। ঈদের পর ১ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ঈদের আগে এভাবে কর্মচারীদের ছাঁটাই করা অমানবিক।
‘অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো বহির্ভূত বিভাগ/শাখা বিলুপ্তকরণসহ প্রয়োজনীয় জনবল সংযুক্তি এবং কর্মরত দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীদের যাদের কাজ নেই অভিযোগ রয়েছে তাদের যাচাই-বাছাইপূর্বক অব্যাহতি’ শীর্ষক এই চিঠিতে মোট ১৬৫ জন কর্মচারীর তালিকা রয়েছে।
এর মধ্যে ১২০ জনের নামের পাশে লেখা রয়েছে ‘প্রয়োজন নাই’। তাদেরই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ৪৫ জন কর্মচারীকে বিভিন্ন শাখা ও দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রাসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব তৈমুর রহমান বলেন, তালিকায় থাকা ১৬৫ জনের মধ্যে ১২০ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। বিধিবহির্ভূতভাবে খোলা কিছু শাখা বিলুপ্ত করার কারণে এসব জনবলের আর দরকার নেই। তবে যে ৪৫ জন কর্মচারীর দরকার আছে, তাদের রাখা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে রাসিকের অস্থায়ী ১৬১ কর্মচারিকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। দফায় দফায় এভাবে আকষ্মিক ছাঁটাই অমানবিক বলছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর অনেক মানুষ চাকরিহারা হয়েছেন। এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে এটা একটা কারণ কি না তা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। কর্ম হারালে মানুষ কিন্তু বিপথে চলে যায়। রাসিকের ছাঁটাইয়ের যে প্রক্রিয়া, সেটা দুঃখজনক। এটা একেবারে অমানবিক। আরও ভেবেচিন্তে- এটা করা উচিত ছিল। দেশের উন্নয়ন বলতে আমি কর্মসংস্থানকেই বুঝি। কর্মহীন করা নয়।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনকে নাগরিক সেবায় প্রায় ৫০ ধরনের কাজ করতে হয়। এখন নাগরিক সেবা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজশাহীতে মানুষ ভোগান্তি এবং হয়রানির মধ্যে রয়েছেন। নাগরিক সেবা বাড়াতে জনবল দরকার। উলটো কমালে তো হবে না। অতীতের সরকার যদি রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাহলে সেটা তাদের দোষ। যারা চাকরি করতো তাদের তো দোষ নয়। এখন আগামীতে হয়তো দেখব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নতুন করে নিয়োগ হবে। এটা হলে বিষয়টা নতুন বোতলে পুরনো মদের মতো হবে।
জানতে চাইলে রাসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব তৈমুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আসলে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু চিঠিতে স্বাক্ষর করেছি।