
প্রিন্ট: ৩১ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
শহিদ-কন্যা ধর্ষণ মামলার আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড

যুগান্তর প্রতিবেদন, দক্ষিণাঞ্চল
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম

আরও পড়ুন
পটুয়াখালীর দুমকীতে জুলাই আন্দোলনে শহিদ বাবার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে কলেজ শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার দুই আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শীরিন এ আদেশ দেন।
এর আগে ২২ মার্চ গ্রেফতার দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুমকি থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মজিবুর রহমান ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মো. রুহুল আমিন সিকদারসহ আটজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।
অন্যদিকে আসামিদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম হোসেন। শুনানি শেষে আদালত দুই আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মো. রুহুল আমিন সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা জুলাই আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। তাকে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এ শহিদ-কন্যা। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন। এরপর ২০ মার্চ দুপুরে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। একই দিন সাকিব মুন্সি নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামি সিফাত মুন্সীও পিরোজপুরের নাজিরপুর থেকে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হন।