
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৭ এএম
ভাণ্ডারিয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা, ভাইয়ের পা বিচ্ছিন্ন

ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম

আরও পড়ুন
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জমিজমা ও বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। নিহত আবু সালেহ (৩৭) পাতলাখালী গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে।
আবু সালেহর ছোট ভাই আবুল বাশার রুবেলের (২৭) এক পা কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রেক্সোনা বেগম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পাতলাখালী গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু সালেহর বোন আফসানা মিমি জানান, রাত আড়াইটার দিকে আমার চাচাতো ভাই শহিদুল ইসলাম সুমন, রুম্মানসহ তাদের সঙ্গে নজরুল ইসলাম বাবুল চৌকিদার, নান্না, লিটন, মিরাজ, সবুজ, মাসুম শরিফসহ আনুমানিক ১০-১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে ভাই আবুল বাশার রুবেলের ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবশে করে এতোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তার ডাকচিৎকারে বড় ভাই আবু সালেহ, তার স্ত্রী মোসাম্মৎ সোনালী আক্তার ঘর থেকে বের হয়ে রুবেলের ঘরের কাছে গেলে আবু সালেহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পার্শ্ববর্তী একটি ডোবায় ফেলে রাখে।
নিহত আবু সালেহর স্ত্রী লাভনী আক্তার জানান, আমরা ঘরে ঘুমিয়েছিলাম। রাতে আমার দেবর রুবেলের ডাকচিৎকার শুনে আমার স্বামী আবু সালেহ ও আমি ঘর থেকে বের হয়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি সুমন ও আরও লোকজন রুবেলকে কুপিয়ে ফেলে রেখেছে। আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্বামী আবু সালেহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার পায়ে হাতুরি দিয়ে আঘাত করে। আমাদের ঘরে ঢুকে সুটকেচ ভেঙে সম্প্রতি সুপারি বিক্রির ১ লাখ টাকা ও দুই ভরির বিভিন্ন অলংকার নিয়ে যায়।
লাভনী আরও বলেন, আমরা ৯৯৯ ফোন দিলে ভাণ্ডারিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পথে আবু সালেহ মারা যান। আবুল বাশার রুবেল গুরুতর অবস্থায় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ আনওয়ার জানান, জায়গা জমি ও বালুর ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমরা রাতেই তাদের উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবু সালেহ এবং আবুল বাশার রুবেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে আবু সালেহ মারা যায়। এ ঘটনায় সুমনের স্ত্রী রোক্সানা বেগমকে আটক করা হয়েছে। বাকি অপরাধীদের ধরতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।