
প্রিন্ট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ এএম
কবিরহাটের সাবেক মেয়র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম

আরও পড়ুন
নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান এবং তার স্ত্রী সামিরা শারমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করার অপরাধে মঙ্গলবার সকালে দুদকের নোয়াখালীর উপসহকারি পরিচালক চিন্ময় চক্রবর্তী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি, ১৮৬০-এর
১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রথবার কবিরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত
হন জহিরুল হক রায়হান। এরপর আরও দুই মেয়াদে তিনি মেয়র পদে নির্বাচিত হন। গত ৫ আগস্ট
দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত তিনি মেয়র পদে বহাল ছিলেন। মেয়র পদে থাকাকালীন
মেয়র রায়হান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অনেক সম্পদ অর্জন করেন।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে জহিরুল ও তার স্ত্রী সামিরা তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। ওই বিবরণীতে জহিরুলের স্ত্রী সামিরাকে একজন গৃহিণী হিসেবে দেখানো হয়। ওই বিবরণীতে সামিরার আয়ের কোনো বৈধ উৎস দেখানো হয়নি। এমনকি ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্সও পাওয়া যায়নি। কিন্তু তার নামে সদর উপজেলার পশ্চিম আলীপুর মৌজায় জমিসহ একটি চারতলা বাড়ি পাওয়া যায়।
সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে ওই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় পাওয়া গেছে ৪৮ লাখ ৩৩
হাজার ৬০০ টাকা, যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। সামিরা ও তার স্বামী জহিরুল যোগসাজশ
করে সম্পদটি অর্জনপূর্বক ভোগদখল করেছেন মর্মে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া
গেছে।
দুদক নোয়াখালীর উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মামলাটি তদন্তকালে
ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা বা অন্য কোনো তথ্য পেলে তাও আইনামলে আনা হবে। দুদক
মামলাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’