
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৯ এএম
জিসিসির ৬০ লাখ টাকার অনিয়ম আটকে দিলেন প্রশাসক

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১১:০৫ পিএম
-67e190bd37cba.jpg)
আরও পড়ুন
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) একটি সড়ক নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, অনিয়ম ও কারচুপির মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা দুর্নীতির চেষ্টা আটকে দিয়েছেন জিসিসি প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
সোমবার সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
প্রশাসক জানান, গাজীপুরের জয়দেবপুর-পুবাইল আঞ্চলিক সড়ক উন্নয়নে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ৮.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নির্মাণকাজে ম্যাকাডাম (ইটের খোয়া) বিছানোর সময় নিম্নমানের ও পুরনো সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নজরে আসার পর সড়কের নির্মাণসামগ্রী যাচাই করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান।
নির্মাণকাজ পরিদর্শনের পর দেখা যায়, প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নমানের খোয়া অপসারণের নির্দেশ দেয় জিসিসি এবং সিডিউল অনুযায়ী মানসম্পন্ন খোয়া ব্যবহারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
প্রশাসক জানান, সড়কের নির্মাণকাজের ইস্টিমেটে (প্রাক্কলন) খোয়া বাবদ ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা ধরা ছিল। নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের ফলে এই অর্থের অপচয় রোধ হয়েছে। তদুপরি, যথাযথ মানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সড়কটি টেকসই হবে এবং নাগরিকরা দীর্ঘদিনের সুফল ভোগ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, যতদিন তিনি প্রশাসকের দায়িত্বে আছেন, ততদিন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
স্থানীয়রা জানান, নতুন প্রশাসক একটি রাস্তার অনিয়ম ধরেছেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমরা আশা করি, তিনি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সিটি কর্পোরেশনের অন্য অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, জয়দেবপুর- নীলের পাড়া-পুবাইল সড়কটি নগরবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পুবাইল, কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। ইতোপূর্বে একাধিকবার সংস্কার করা হলেও অনিয়মের কারণে কাজের স্থায়িত্ব ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল এবং প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। তবে প্রশাসকের হস্তক্ষেপের ফলে এবার টেকসই নির্মাণের আশা করছেন এলাকাবাসী।
মাসিক সমন্বয় সভায় সিটি করপোরেশনের সচিব নমিতা দে, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সোহেল রানা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ চক্রবর্তীসহ সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।