
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ এএম
শ্রমিক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম

আরও পড়ুন
মাদারীপুরের সদর উপজেলার শ্রমিকদলের একাংশের সভাপতি শাকিল মুন্সিকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নতুন মাদারীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে শাকিল মুন্সিকে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে
নিহতের পরিবারের সদস্যরা। শাকিল নতুন মাদারীপুর এলাকার মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদারীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক মনিরুজ্জামান আক্তার হাওলাদারের ছোট ভাই লিটন হাওলাদারকে পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি
করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন শ্রমিক দলের একাংশ, যার মধ্যে রয়েছে রুবেল হাওলাদারের সমর্থক
শাকিলও। এর প্রতিক্রিয়ায় শ্রমিক দলের একাংশ
কমিটি ঘোষণা করে যাতে শাকিলকে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি করা হয়।
শ্রমিকদলের পদ পেয়েই লিটন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এ নিয়ে
শাকিল ও লিটনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর আগেও আধিপত্য নিয়ে রুবেল হাওলাদারের সঙ্গে
আক্তার হাওলাদারের দ্বন্দ চলে আসছিল। আক্তার হাওলাদার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যা
মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন।
রোববার দুপুরে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে ধাওয়া
পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ। সুযোগ বুঝে রাত
১১টার দিকে লিটল দলবল নিয়ে শাকিলের ওপর হামলা করে। তাকে কুপিয়ে জখম করে তারা। শাকিলের
চিৎকারে লোকজন বেরিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে
সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শাকিলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির সমর্থকরা হত্যাকারীদের বিচার
দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মৃত শাকিলের ভাই মাদারীপুর পৌর বিএনপির ২ নাম্বার ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক
হাসান মুন্সি বলেন, ‘লিটন, আল আমিন, জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা
করেছে। এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোকজন। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘শাকিল মুন্সি নামে
এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’