
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের নতুন চ্যানেলে চলবে না ফেরি

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম

আরও পড়ুন
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া এলাকায় ডুবোচর কেটে একটি নতুন চ্যানেল তৈরি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বলা হয়েছিল চ্যানেলটি দিয়ে ফেরি ও লঞ্চ একত্রে চলাচল করবে। তবে তেমনটি হচ্ছে না। কম প্রশস্থ্যতায় চ্যানেলটি দিয়ে ফেরি চলাচল সম্ভব নয়। ফলে ঈদের বাড়তি চাপের মধ্যেও ফেরিগুলোকে আগের মতো দুই কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে যেতে হবে। এতে অতিরিক্ত সময় লাগার পাশাপাশি যানবাহন পারাপারে ধীর গতির শঙ্কা রয়েছে
গত ৫ মার্চ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)
বিআইডব্লিউটিএকে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, নতুন চ্যানেল কাটা ও ড্রেজিংয়ের
কথা অনুরোধ করা হয়। চিঠিতে প্রায় চার হাজার ফুট লম্বা, ২৫০ ফুট প্রশস্ত ও ন্যুনতম ১৪
ফুট গভীর করে একটি চ্যানেল তৈরির কথা বলা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির অনুরোধের পর নতুন চ্যানেল তৈরি করে বিআইডব্লিউটিএ। গত
৯ মার্চ সেই চ্যানেলে একটি রো রো ও একটি ইউটিলিটি ফেরি চলে। এ সময় পানির গভীরতা পাওয়া
যায় মাত্র ১২ ফুট, যা ফেরি চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বিষয়টি নিয়ে গত ১২ মার্চ বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক
(মেরিন) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বিআডব্লিউটিএর আরিচার ড্রেজিং ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলীর
কাছে চ্যানেল নিয়ে প্রতিবেদন পাঠায়। এতে বলা হয়, পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি দিন দিন হ্রাস
পাচ্ছে। এতে করে ফেরি চলাচলের জন্য নির্মিত চ্যানেলের মধ্যে কোথাও কোথাও ডুবোচর সৃষ্টি
হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সামনে কালবৈশাখী ঝড়ের মৌসুম হওয়ায় সরু চ্যানেলে
ফেরিগুলো যেকোনো মুহূর্তে চরে আটকে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে চ্যানেলটি পুনরায় হাইড্রোগ্রাফি
সার্ভে করে পর্যাপ্ত প্রশস্ত ও গভীর করতে বলা হয়।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ৫ নাম্বার ফেরিঘাট সোজাসুজি ওই চ্যানেলটিতে
এখনও ড্রেজিং কাজ করছে। ড্রেজিংয়ের মোটামোটা লোহার পাইপের পাশ দিয়ে কোনোভাবে যাতায়াত
করছে লঞ্চ। তবে ফেরি চলাচলের মতো পরিবেশ দেখা যায়নি।
এদিন উপজেলা হলরুমে ঈদ প্রস্তুতির সমন্বয় সভায় বিআইডব্লিউটিএর আরিচা
কার্যালয়ের উপপরিচালক সেলিম শেখ বলেন, ঈদ প্রস্তুতি হিসেবে নৌরুটে ছোটবড় ১৭টি ফেরি
এবং দুই পাড়ে ছয়টি পন্টুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে নতুন চ্যানেলের প্রশস্ত ও গভীরতা
কম থাকায় ফেরি চলানো সম্ভব হবে না। সময় বেশি লাগলেও পূর্বের চ্যানেল দিয়েই ফেরি চলাচল
করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাছান মাহমুদ
বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিসির অনুরোধে ঈদের আগেই চ্যানেলটি অন্তত ৩০০ ফুট প্রশস্ত করে খুলে
দেওয়ার কাজ চলছে।’