
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৩ এএম
ফ্রিল্যান্সারকে তুলে নিয়ে চাঁদা আদায়, ডিবি পুলিশের এসআইসহ গ্রেফতার ৬

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
-67e163a99b29f.jpg)
আরও পড়ুন
বগুড়ার ধুনটে দুই ফ্রিল্যান্সারকে ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন ডিবির এসআইসহ পাঁচ পুলিশ ও এক সিভিল চালককে গ্রেফতার করেছে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ।
সোমবার বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাব্বির বাবা সেলিম শেখ ৬ পুলিশসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করছেন।
এর আগে সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের বীরগ্রাম এলাকায় মাইক্রোবাস ধাওয়া করে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চাঁদার টাকা পাওয়া গেছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- রাজশাহী ডিবি পুলিশের এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, কনস্টেবল আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল মাহবুব আলম, কনস্টেবল বাশির আলী ও সিভিল মাইক্রো ড্রাইভার মেহেদী হাসান। এছাড়া কনস্টেবল ওহাব পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, বগুড়ার ধুনট উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে রাব্বি শেখ (১৯) ও একই গ্রামের মৃত শেরবান খাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর খাঁ (২৪) ফ্রিল্যান্সার। রাজশাহী ডিবি পুলিশের এসআই শাহীন মোহাম্মদ অনু ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ কনস্টেবল রোববার রাত ১১টার দিকে মাইক্রোবাসে দীঘলকান্দি গ্রামে আসেন। ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাব্বি ও জাহাঙ্গীরকে আটক করে মাইক্রোবাসে অন্যত্র নিয়ে যান।
এরপর সমঝোতার মাধ্যমে তাদের কাছে দুই লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে রাব্বি ও জাহাঙ্গীরের পরিবার বিষয়টি ধুনট থানা ও কুন্দারহাট হাইওয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, পুলিশ পরিচয়ে দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণের পর টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়। এরপর সোমবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে ধাওয়া করে একটি মাইক্রোবাস থামানো হয় এবং এতে থাকা ডিবি সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছে ২ লাখ টাকা, ১টি ওয়াকিটকি, ১টি হ্যান্ডকাপ ও ৭টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছে, আরএমপি ডিবিতে কর্মরত কনস্টেবল ওহাব এ টিমকে জানায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামে রাব্বি ও জাহাঙ্গীর ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত। তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত না করে অনৈতিক সুবিধালাভের উদ্দেশে টাকা আদায় করেন।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল বগুড়ার ধুনটে হওয়ায় পরে তাদের ওই থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিকালে ধুনট ওসি সাইদুল আলম জানান, ভুক্তভোগী রাব্বির বাবা সেলিম শেখ পলাতক কনস্টেবল ওহাবসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা করছেন। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।