
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার ৩৯ ওয়ার্ডের হায়দারবাদ এলাকায় অনুমোদন ছাড়া ঘোড়ার গোশত বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গাজীপুরে ওই এলাকায় ঘোড়ার গোশত বিক্রি করায় সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত সমালোচিত হয়। আর বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে প্রথম ঘোড়ার গোশত বিক্রি করার প্রচলন, যা মুসলিম দেশ বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এক অভিযানে মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, প্রাণী জবাইয়ের জন্য ভেটেরিনারি সার্জনের অনুমোদন না থাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন এবং গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া।
স্থানীয়রা বলেন, ঘোড়া নবী-রাসূল (সা.)-এর আমল থেকে উপকারী একটি প্রাণী, দেশে প্রতিটি পর্যটন স্পটে এ প্রাণীটি বিনোদন খাতে কাজে লাগছে, এভাবে ঘোড়া জবাইয়ের মাধ্যমে বিলুপ্ত করে ফেললে এক সময় ঘোড়াশূন্য হয়ে যাবে বাংলাদেশে, তাই ভবিষ্যৎ আর যেন কোনো ঘোড়া জবাই বা বিক্রি কেউ করতে না পারে সেটা প্রশাসনের নজরদারিতে রাখতে হবে।
এ বিষয়ে পূবাইল বেপারিপাড়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল হোসাইন যুগান্তরকে সর্বশেষ হাদিসে খালিদ বিন ওয়ালিদের বর্ণনার ধারায় এটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ প্রমাণিত হয়।
এ বিষয়ে মাংস বিক্রেতা সফিকুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি বলেন, দুই দিন আগে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করেছি। জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মৌখিক নির্দেশে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে ম্যাজিস্ট্রেট এসে বলেছেন- এটা বন্ধ রাখতে হবে।