
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে লাকি বেগম (২৬) ও মেয়ে মরিয়মের (৬) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলছে আত্মহত্যা, কেউ বলছে হত্যা। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী মহরম আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের লিচুপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহরম আলীর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পাশের উপজেলার চকযামেনি কাজিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে লাকির সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
মঙ্গলবার সকালে মহরম প্রথম স্ত্রীর মেয়েকে সেমাই-চিনি দিতে যায়। দুপুরে লাকি ও তার মেয়ে মরিয়ম একই রশিতে গলায় দড়ি দিয়েছে বলে গুঞ্জন উঠে স্থানীদের মাঝে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে নিহত লাকির মা মঞ্জিলা বেগম বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার জামাই মহরম ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে- ‘আজ তোর বেটিকে মারতে মারতে মারি ফেলাম’। পাশ থেকে মেয়ে বলে ‘মা আমার চুলের মুটে ধরে মারডাং করছে’। তখন মেয়েকে বলি, যা কিছু হোক বাড়ি থেকে কোথাও যাবি না।
মঞ্জিলা বেগমের দাবি- মহরম তার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে।
ফুলবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির বারান্দায় মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখি। সেগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিঙ্গাসাবাদের জন্য স্বামী মহরম আলীকে আটক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।