
প্রিন্ট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৭ এএম
রাজশাহী ডিসি অফিসে যুবদল-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত তিন

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম

আরও পড়ুন
রাজশাহীতে বালু মহালের টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে ধাওয়া পালটাধাওয়া। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চারঘাট, পবা, গোদাগাড়ী ও কাটাখালী এলাকার পদ্মার ৪টি বালু মহাল ইজারার টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে টেন্ডার বাক্স সিলগালা করার প্রস্তুতি চলছিল।
এ সময় মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজির হাসানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের নেতাকর্মীদের একটি দল টেন্ডার জমা দিতে যান। ডিসি অফিসের কর্মচারীরা নির্ধারিত সময়ের পর আর টেন্ডার গ্রহণ করা হবে না বলে তাদের জানান। এ নিয়ে যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। যুবদল নেতাকর্মীরা এ সময় টেন্ডার বাক্স সিলগালা করতে বাধা প্রদান করেন।
এদিকে খবর পেয়ে টেন্ডার বাক্সের সামনে ছুটে আসেন কাটাখালী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্ব তার অনুসারীরা। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা যুবদল নেতার টেন্ডার জমা দিতে আপত্তি তোলেন। তারা বলেন, সময় শেষ হয়েছে। এখন আর কেউ টেন্ডার জমা দিতে পারবেন না। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়।
ডিসি অফিসের নিচতলাতেই শুরু হয় ধাওয়া পালটাধাওয়া। দুই পক্ষের মধ্যে ঘটে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। এ সময় ডিসি অফিস চত্বরে আসা লোকজন আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। হামলায় রায়হান (২৫), মাসুদ ও সনি নামের তিনজন আহত হন।
আহতরা জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামীম সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে রায়হানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ডিসি অফিসে ৪টি বালু মহাল ইজারার জন্য টেন্ডার দাখিল চলছিল। এ সময় টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি পক্ষ রাজপাড়া থানায় অভিযোগও দিয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কাটাখালী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। তবে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজির হাসান বলেন, আমি ডিসি অফিসে টেন্ডার জমা দিতে গেলে আমাদের বাধা প্রদান করা হয়। তবে আমি পুলিশের সহায়তায় টেন্ডার জমা দিয়ে চলে এসেছি। মারামারি বা হাতাহাতির ঘটনা দেখিনি। হলে পরে হয়েছে।