
ফাইল ছবি
নাটোরে বরখাস্ত পুলিশ সুপার এস এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতের বারান্দায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত এই পুলিশ সুপারকে সোমবার বিশেষ ব্যবস্থায় আদালতে হাজির করা হয়। সোমবার বেলা ১১টায় নাটোর জেলা কারাগার থেকে আলাদা পুলিশ ভ্যানে করে তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। আদালতে নেওয়ার সময় ফজলুল হকের এক হাতে হাতকড়া পরানো ছিল।
এ ছাড়া আদালত
চত্বরের নিরাপত্তায় সকাল থেকেই কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, সদর থানার ওসিসহ বিপুলসংখ্যক
পুলিশ সদস্য আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। নিজের প্রথম স্ত্রীর করা নির্যাতনের মামলায়
আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয় এই পুলিশ সুপারকে। এ সময় তিনি মাস্ক পরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তার পক্ষের আইনজীবী সোহেল রানা এ সময় আদালতে বক্তব্য দিলেও জামিনের আবেদন করেননি।
আদালত সূত্রে
জানা যায়, পরবর্তী দুই মাস পর অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। পরে আসামিকে
কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। হাজিরা শেষে আবারও বিশেষ নিরাপত্তায় পুলিশ ভ্যানে
করে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিকেরা তার ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। তাতে
গত দিনের মতো কেউ বাধা দেননি।
আদালতের সরকারি
কৌঁসুলি আবদুল কাদের মিয়া জানান, আগের দিন তার হাজিরায় আদালত চত্বরে অপ্রীতিকর ঘটনা
ঘটলেও আজ তেমন কিছু ঘটেনি। তাকে নিরাপদে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১১ মার্চ
দুপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত (বরখাস্তকৃত) এই কর্মকর্তার স্ত্রীর মামলায়
একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় তাকে কোর্ট হাজতে নেওয়ার পথে ছবি তুলতে গেলে তিনি নাটোরের স্থানীয় সাংবাদিকদের
ওপর চড়াও হন। তাদের ক্যামেরা ফেলে দিতে চেষ্টা করেন। এ সময় তিনজন আহত হন। এর প্রতিবাদে
সাংবাদিকেরা হাজতখানার সামনে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনী এসে তাকে কারাগারে নিয়ে যায়। হামলার ঘটনার রাতেই নাটোরের একজন সাংবাদিক বাদী
হয়ে নাটোর সদর থানায় দ্রুত বিচার আইনে এই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে ওই মামলায়ও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।