
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৯ এএম
সেই লিপি কারাগারে

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
-67d704f81c4f0.jpg)
আরও পড়ুন
ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে বাদ দিতে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে লিপি খান ভরসার ঘুসের টাকার দরদাম হয়। ঘুসের অভিযোগের অডিও নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন। রোববার দুপুরে তাকে ঢাকার গুলশানের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাত ৯টায় রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট-১ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুদীপ্ত শাহিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলা তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত জেলহাজতে রাখার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক সোয়েবুর রহমান তা মঞ্জুর করে আসামিকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ভরসাকে গ্রেফতারের জন্য শনিবার দুপুর থেকে ঢাকায় গুলশানে তার বাসাটি ঘিরে রাখা হয়। রাতভর তিনি বাসার দরজা না খোলার কারণে রোববার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে পুলিশ বাসার দরজা ভেঙে তাকে গ্রেফতার করে।
তিনি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাসিমা জামান ববির সঙ্গে পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই বিকালে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে সিটি বাজারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে গুলি লেগে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় গত বছর ১৩ নভেম্বর মহানগর কোতোয়ালি থানায় গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ মামুন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। লিপি খান ভরসা এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
উল্লেখ্য, ওই মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে মামলার চার্জশিট দেওয়ার জন্য তিনি রংপুর মহানগর পুলিশের (আরপিএমপি) সাবেক ডিসি ক্রাইম মোহম্মদ শিবলি কায়সারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এজন্য তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ রংপুরের ব্যবসায়ী নেতা রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক অমিত বণিককে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেন। পুলিশ কর্মকর্তা এ কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। লিপি খান ভরসা ২ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। এতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হন।
এসব বিষয়ের কথোপকথন লিপি খান ভরসা মোবাইলে অডিও ধারণ করেন। তা তিনি অবহিত করে গত ১১ মার্চ মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে লিপি খান ভরসা লিখিত অভিযোগ করেন।