
চট্টগ্রামে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সিএমপির গণসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন- ডবলমুরিং মডেল থানার আসামি রুবেল, রজমান আলী, আব্দুল মালেক, জীবন চক্রবর্তী, টটুল মিয়া, ইয়াসিন, সোহেল, সুমন, সুমন, আদিত্য শীল নিলয়, রানা, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আসামি শহীদুল ইসলাম শহীদ, আহসান হাবীব, রেজাউল ওরফে রুম্মান ও সানি।
হালিশহর থানার আসামি ফয়সাল আবছার জিসান, সাব্বির হোসেন। বাকলিয়া থানার আসামি আনিসুর রহমান ওরফে শাওন, সালসাবিলনুর আজাদ শিবলী, আমির খসরু, জাহাঙ্গীর আলম, সদরঘাট থানার আসামি সদরঘাট ঘাট ও গুদাম শ্রমিক লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ওরফে মনির চৌকিদার, জসীম, বন্দর থানার আসামী সাইফুর রহমান ও চকবাজার থানার আসামি আবু বক্কর।
কর্ণফুলী থানার আসামি শিকলবাহা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ। পাচঁলাইশ মডেল থানার আসামি বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহামুদের বিশ্বস্ত সহযোগী সেকান্দার আলম বাবর।
চান্দগাঁও থানার আসামি আকরাম হোসেন, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মেঘা আক্তার, জেসমিন আক্তার, রায়হান, সাকিব, রাশিদ শাহরিয়ার, লাভলু দাস, মোজাম্মল হক নাঈম, আকবরশাহ থানার আসামি সাকিব ওরফে কাউছার আহম্মেদ সাকিব, রাজু ও পাহাড়তলী থানার আসামি শেখ ফরিদ, ওয়াহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার আসামি মুরাদ, গিয়াস উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, সোহেল রানা বাটু সোহেল, সবুজ বর্ধন, ইপিজেড থানার আসামি নিরব হোসেন শাকিল, খুলশী থানার আসামি সেলিম এবং পতেঙ্গা মডেল থানার আসামি সবুজ।
এডিসি (গণসংযোগ) মাহমুদা বেগম জানান, নগরীতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।