গাজীপুরের কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জামায়াতের দাবি, ইফতার মাহফিল করতে গেলে বাধা দিয়ে খাবার নিয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইফতার ও নামাজের পর তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ইফতার মাহফিলে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। উলটো জামায়াতের নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া খাজা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইফতার ইস্যুতে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জামায়াতের দুই কর্মীকে গাজীপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সুমন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার খলাপাড়া খাজা মার্কেট এলাকায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে তারা। ইফতারের আগ মুহূর্তে সেখানে হাজির হয় স্থানীয় বিএনপি কর্মী আপেল, নুর ইসলাম ও আকরামসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন। তারা এসে বলে, এ এলাকায় কোনো ইফতার মাহফিল করা যাবে না। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা জামায়াতের ইফতার নিয়ে চলে যায়। তখন জামায়াতের কর্মীরা অন্য স্থানে ইফতার করে। নামাজ শেষে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে বিএনপি কর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘কেউ যদি আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায়, তাহলে কি তারা রক্ষা করবে না? জামায়াতের নেতাকর্মীরা আমাদের লোকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় সাত থেকে আটজন আহত হয়েছে।’

তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম পরিচয় দিতে পারেনি বিএনপির এ নেতা। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খায়রুল হাসান বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে জামায়াতের পাঁচ কর্মীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় জামায়াত নেতা মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’