
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
টুঙ্গিপাড়ায় সেনাবাহিনীকে তথ্য দেওয়ার সন্দেহে গণমাধ্যমকর্মীকে মারপিট

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ পিএম

আরও পড়ুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে কয়েকজনকে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি নামে এক গণমাধ্যম কর্মীকে মারপিট করা হয়েছে।
সোমবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত রকিবুল ইসলাম আফ্রিদিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও বর্নি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আহত গণমাধ্যম কর্মীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুরে সেনাবাহিনীর গাড়ি পোড়ানোর মামলার এজাহার নামীয় কয়েকজন আসামি টুঙ্গিপাড়ার বর্নি গ্রামের বাসিন্দা। আসামিদের ধরতে সেনাবাহিনী বর্নি গ্রামে দুইবার অভিযান চালিয়ে কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করে। এক সপ্তাহ আগে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে বর্নি গ্রামের মন্টু মুন্সী, ইয়াকুব মুন্সী ও জিকরুল মুন্সী নামের তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। গত সোমবার তারা জামিনে মুক্তি পায়। তাদের ধরিয়ে দিয়েছে সন্দেহে রকিবুলকে মারধর করে আহত করে।
রকিবুল ইসলাম আফ্রিদি বলেন, সংবাদ সংগ্রহ শেষে সোমবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বর্নি ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মন্টু মুন্সী ও জিকরুল মুন্সীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন আমার ওপর হামলা করে। সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে গতকাল জামিনে বের হয়েই রাতে আমার ওপর তারা হামলা করে। একপর্যায়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করি এবং উপজেলার অন্যান্য সাংবাদিকদের জানালে তারা এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মন্টু ও জিকরুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বাড়িতেও হামলা করে। এর আগেও তারা আমাকে হুমকি দিয়েছিল। এ ঘটনায় তখন টুঙ্গিপাড়া থানায় একটা সাধারণ ডায়রিও করেছিলাম।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমরান শেখ বলেন, গণমাধ্যম কর্মী রকিবুল ইসলাম আফ্রিদির ওপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জিকরুল মুন্সির মোবাইলে বারবার ফোন দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।