তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন চান অংশীজনরা

রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ পিএম

তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও নদী পুনরুদ্ধারে প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর অংশীজনদের নিয়ে সোমবার রংপুরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় অংশীজনরা চীন-ভারতের রশি টানাটানি বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরুর দাবি জানান।
অন্যদিকে পাওয়ার
চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার হান কুন বলেছেন, ‘এ প্রকল্প ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ এটা একটা
বাণিজ্যিক প্রকল্প। যে প্রকল্পে মানুষের উপকার হয়, সে প্রকল্পে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
গৌণ। এ প্রকল্প পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না।’
রংপুর জেলা
প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বিকালে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
রবিউল ফয়সাল। সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার চায়না, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন
আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতা, তিস্তায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি
ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
প্রকল্পের ওপর
তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন পাওয়ার চায়নার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মকবুল হোসেন। আলোচনায় অংশ
নেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম,
সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক
ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি, জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন
ক্লাবের শামসুর রহমান সুমন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপার রংপুর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম,
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কনক রহমান, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন
ও রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপনডেন্ট সরকার
মাজহারুল মান্নান, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান প্রমুখ।
অংশীজনরা বলেন,
তিস্তা অববাহিকার দুই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচাতে এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই
এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করতে হবে। এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। সোলার প্যানেলের
নামে হাজার হাজার একর জমি দখলের গ্রিন কার্ড দিয়েছে বিগত সরকার। তা বাতিল করে নদীকে
নদীর মতো চলতে দিতে হবে। দখলমুক্ত করতে হবে।