অবরোধ বিক্ষোভ ও দুই পুলিশ আহত
পূর্বাচলে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৫

যুগান্তর প্রতিবেদন, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৪ এএম
-67c9fd890855f.jpg)
পূর্বাচল উপশহরের ৩০০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত কাঞ্চন-কুড়িল সড়কে সিএনজিচালকদের কাছ থেকে বিআরটিসি বাসের লোকদের চাঁদা দাবি ও তাদের মারধরের প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও দুই পুলিশ আহতের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার এসআই ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ২১ জনকে নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। পুলিশ ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন- উপজেলার গুতিয়াবো এলাকার সিএনজিচালক আব্দুর রউফ, পিতলগঞ্জ এলাকার কাউসার, কাঞ্চন মায়ারবাড়ী এলাকার ফেরদৌস, আরিফ হোসেন ও বাদল মিয়া। তারা প্রত্যেকেই সিএনজি চালক। তাদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর।
সরেজমিন জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়ক নামে পরিচিত কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসের ঠিকাদারদের নিয়োজিত রাকিব হাসান ও জাহিদ হাসান নামের দুই যুবক সিএনজি চালকদের কাছে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছে।
গত ১ মার্চ কুড়িল এলাকায় তাদের দাবি করা চাঁদার টাকা সিএনজি চালকরা দিতে অস্বীকার জানালে রাকিব হাসান ও জিহাদ হাসানের নেতৃত্বে ১০-১৫ সদস্যের একদল যুবক দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৭-৮ জন সিএনজি চালকদের মারধর ও তাদের সিএনজি ভাংচুর করে। বিষয়টি তারা ভুলতা-কুড়িল সড়কের বিআরটিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন; কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
গত ৫ মার্চ বুধবার কুড়িল এলাকায় সকাল থেকে রাকিব হাসান ও জিহাদ হাসানের নিয়োজিত যুবকরা সিএনজি চালকদের কাছে আবার চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবির চাঁদা টাকা দিতে অস্বীকার করায় আবারও ৩-৪জন সিএনজিচালককে মারধর ও তাদের সিএনজি ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুর ১টার দিকে চালকরা সিএনজি বন্ধ করে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান নেয়। ওই সড়কে চলাচলকারী বেশ কয়েকটি বিআরটিসি বাস আটকে যাত্রী নামিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পূর্বাচল চায়না ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে। বিআরটিসি বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে দেওয়ার দৃশ্য পুলিশ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এ সময় সিএনজি চালকরা পুলিশের উপর হামলা করে। হামলায় এসআই আবু ছাইম ও কনস্টেবল বাচ্চু মিয়া আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত পুলিশদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সিএনজি চালকদের হামলায় আহত পূর্বাচল চায়না পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবু ছাইম বলেন, গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সিএনজি চালকদের মধ্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তখন তাদের কেউ কেউ পুলিশের ওপর চড়াও হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, কাঞ্চন-কুড়িল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতারদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।