
প্রিন্ট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০ পিএম
গোয়াইনঘাট হাওড়ে পানি সংকট, দুশ্চিন্তায় কৃষক

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
-67c9815454bd5.jpg)
আরও পড়ুন
দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টি ও খরায় খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় পানির অভাবে সিলেটের গোয়াইনঘাটের কৃষি জমিতে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
উপজেলার হাওড় এবং মাঠের পর মাঠ বোরো জমি ফেটে চৌচির। ফলে ধান বিবর্ণ রঙ ধারণ করে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি হলে এ সমস্যা কেটে যাবে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার চাষিরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়ে ফসলের মাঠ সবুজের সমারোহে ভরে উঠায় তারা আশায় বুক বাঁধেন। কিন্তু হঠাৎ তাদের হাসিমুখে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ। টানা খরা ও অনাবৃষ্টিতে হাওরে ও মাঠে রোপায়িত বোরো ধানের জমি শুকিয়ে গেছে। চাষীরা সেচের পানি দিতে পারছেন না।
কৃষকদের অভিযোগ, ধান রোপণের আগে বিলের ইজারাদার হাওড়ের বিল-নদী শুকিয়ে মাছ মারার কারণে পানির সংকট তৈরি হয়েছে। এতে ধানে থোড় আসার আগ মুহূর্তে ক্ষেতের জমিতে পানি না থাকায় ধান বিবর্ণ রং ধারণ করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন কৃষক ফসল রক্ষায় ৩ থেকে ৪ হাজার ফুট দূর থেকে পাইপের মাধ্যমে জমিতে সেচ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সমস্যার কথা জানান তারা। উপজেলাজুড়ে চাষীদের মধ্যে পানি নিয়ে চলছে এক রকম হাহাকার।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ১৫ হেক্টর। তা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার ৩৪ হেক্টর জমি।
উপজেলা কৃষি অফিসার রায়হান পারভেজ রনি জানান, আবহাওয়া অফিস শিগগিরই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। বৃষ্টি হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সমস্যা বিদ্যমান থাকলে রোপায়িত বোরো ধানের বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন ব্যাহত হবে। রোগবালাইয়ের আক্রমণ বাড়বে।