দুই জামায়াত কর্মী হত্যার ঘটনায় এলাকা থমথমে

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০১ এএম

জেলার সাতকানিয়ায় সালিশের নামে ডেকে নিয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ‘মব’ জাস্টিস সৃষ্টি করে দুই জামায়াত কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এলাকায় থম থমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গ্রেফতারের ভয়ে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামের মানুষদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। বিশেষ করে এই এলাকার পুরুষ সদস্যদের অনেকে এলাকা ত্যাগ করেছেন।
এদিকে জামায়াত কর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেক হত্যার ঘটনায় বুধবার রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি আইয়ুব আলী যুগান্তরকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে তারা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজের নেতৃত্বে মঙ্গলবার মধ্যরাতে জামায়াতের দুই কর্মীকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে বিদেশ ফেরত নেজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল যোগে ৩০-৩৫ জন যুবক ছনখোলা এলাকা যান। এলাকাবাসী ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন। এলাকায় ডাকাত পড়েছে তাদের প্রতিরোধ করতে সবাইকে বের হতে বলেন। এই ঘোষণা শুনে গ্রামের লোকজন দা-ছুরি লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ঘেরাও করেন। এ সময় কথিত ডাকাত সদস্যরা নিজেরা বাঁচতে এলাকাবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে। অভিযোগ আছে, ‘গ্রামবাসীর’ পক্ষ থেকেও পালটা গুলি চালানো হয়। গ্রামবাসীর হাতে দুইজন নিহত হওয়া ছাড়াও প্রতিরোধ করতে আসা ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি ওসি ভালো বলতে পারবেন।’
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান যুগান্তরকে বলেন, ‘ভিকটিমদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের জন্য থানায় আসার কথা রয়েছে। তারা এলেই মামলা দায়ের করা হবে।’