
প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নদীতে ঘুরছে কুমির। কখনো একটা কুমির, আবার কখনো একসঙ্গে তিনটা কুমিরও ঘুরছে গড়াই নদীতে। কুমির দেখতে নদীপাড়ে ভিড় করছেন রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, শৈলকূপা ও মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সি মানুষ।
স্থানীয়রা বলেন, নদীতে গোসল করতে গিয়ে তারা কুমির আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
বুধবার সকালে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের মোহনের ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কুমির দেখতে অপেক্ষা করছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
কুমির দেখতে আসা পাংশার সুবর্ণ গ্রাম থেকে মহিলা দর্শনার্থীরা জানান, অনেক দিন ধরে কুমির দেখার সংবাদ তারা শুনছেন। তাই তারা কুমির দেখতে এসেছেন।
স্থানীয়রা জানান, নদীতে পানি যখন বেশি ছিল তখন এখানে কুমির এসেছে। এখন নদীর পানি কমে গেছে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যায়। প্রতিদিনই দুই থেকে তিনবার নদীতে কুমির ভাসতে দেখা যায়।
এছাড়াও প্রতিদিন এলাকার শত শত মানুষ গড়াই নদীতে গোসল, জামা-কাপড় ধোয়াসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে নদীর পানি ব্যবহার করতেন; কিন্তু এখন নদীতে কুমির আতঙ্কে কেউ নদীতে নামতে পারছেন না।
পাংশার কসবামাজাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তানজীদ হোসেন বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে নদীতে কুমির দেখা গিয়েছিল বলে শুনেছিলাম। এর মধ্যে আমি মঙ্গলবার সকালের দিকে কুমিরটা দেখতে পেয়েছি। উপজেলা প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
পাংশার বনবিভাগের ফরেস্টার আমিনুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে জেলা বনবিভাগের কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম আবু দারদা যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছি। কুমির দেখতে পাইনি। ফেসবুকে কয়েকটি ভিডিও দেখেছিমাত্র। মানুষকে সতর্ক করতে স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে লোকজনকে নদীতে নামতে সতর্ক করা হচ্ছে। বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সরেজমিন গিয়ে ব্যানার টানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।