গণপিটুনিতে নিখোঁজ ডাকাতের মরদেহ ভেসে উঠল নদীতে

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:১১ পিএম

গণপিটুনির পর নিখোঁজ ডাকাতের মরদেহ মাদারীপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ভেসে উঠেছে। এই মরদেহ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ জনে। রোববার বিকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিস এলাকার কীর্তিনাশা নদীতে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
স্থানীয় রুবেল জানান, আমি নদীতে হাত-পা ধুতে গেলে দেখি একটি লাশ ভাসছে; পরে আমি লোকজনকে ডাক দিলে পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা একটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি ডাকাতির ঘটনায় তিনি মারা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে স্পিডবোট নিয়ে ডাকাতি করতে আসে একদল দুর্বৃত্ত। স্পিডবোটে অস্ত্র নিয়ে বালুবাহী জাহাজে ডাকাতির চেষ্টা চালায় তারা। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা ফাটিয়ে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে ইটপাটকেল ছুড়লে ডাকাতরা এলাকাবাসীর ওপর গুলি করে। এতে আহত হন অন্তত ৮ জন। এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে একাধিক ট্রলার নিয়ে ডাকাতদের আবারো ধাওয়া দেন স্থানীয়রা।
পরে কীর্তিনাশা নদীর শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় গতিরোধ করে তাদের আটকে গণপিটুনি দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় ৭ ডাকাতকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যায় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যায়। এদের মধ্যে নিহত রিপনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের কালিরচর এলাকায় ও আনোয়ার দেওয়ানের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরায়। অন্য দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।