Logo
Logo
×

সারাদেশ

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী-শ্যালিকাকে খুন করে পালালেন যুবক

Icon

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কসবা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম

শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী-শ্যালিকাকে খুন করে পালালেন যুবক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রোববার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রী যুথি আক্তার (২২) ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তারকে (১২) বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন স্বামী আমির হোসেন (৩০)।

পুলিশ সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত যুথি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ধজনগর গ্রামের মৃত রওশন আলীর মেয়ে। আর আমির হোসেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলি গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে।

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমির হোসেনের সঙ্গে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় যুথি আক্তারের। স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন যুথি আক্তার। যুথি আক্তারের বাবা রওশন আলী বেঁচে নেই। তাদের মা একটি মামলার কারণে জেলহাজতে রয়েছেন। বাড়িতে থাকেন যুথি আক্তারের ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ছোট ভাই জাহিদ হোসেন। বড় ভাই সৌদি আরবে থাকেন।

রোববার যুথি আক্তার তার স্বামী আমির হোসেনকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। রাতের খাবার শেষে যুথি আক্তার ও তার ছোট বোন স্মৃতি আক্তার ঘরের একটি কক্ষে এবং আমির হোসেন ও তার শালা জাহিদ হোসেন একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন।

রোববার গভীর রাতে জাহিদ ঘুম থেকে জেগে তার দুলাভাইকে দেখতে পায়নি। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। পাশের কক্ষে তার দুই বোন অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ সময় জাহিদ চিৎকার করতে থাকলে বাড়ির আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে যুথি ও স্মৃতির মরদেহ দেখতে পান।

খবর পেয়ে সোমবার সকালে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের, পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশসহ কসবা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।

মৃতদের ছোট ভাই জাহিদ হোসেন বলেন, আমার সঙ্গে দুলাভাই ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি তিনি নেই। ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। আমার দুই বোন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি আমার বোনদের খুনের বিচার চাই।

কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, তাদের বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিয়ে হয়েছে বেশি দিন হয়নি। কী কারণে খুন করা হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। তিনি ধারণা করছেন তাৎক্ষনিক হয়তো কোনো দ্বন্দ্বের কারণে তাদেরকে খুন করা হয়েছে। আমির হোসেন পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের করার চেষ্টা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম