Logo
Logo
×

সারাদেশ

৫০ বছরের পুরনো বাস টার্মিনালে জায়গা সংকট, হয় না সংস্কারও

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম

৫০ বছরের পুরনো বাস টার্মিনালে জায়গা সংকট, হয় না সংস্কারও

১৯৭৫ সালে তিন একর জমিতে নির্মাণ করা হয় বাস টার্মিনালটি। সেই টার্মিনালে বর্তমানে জায়গা হচ্ছে না উপজেলার এক-তৃতীয়াংশ বাসেরও। বাধ্য হয়ে রাস্তায় রাখা হচ্ছে বাস। এতে করে বাড়ছে যানজট।  দীর্ঘদিনের টার্মিনাল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনটির সংস্কার কাজ হয়নি। এতক্ষণ বলছিলাম লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বাসি টার্মিনালের কথা।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা পৌর কর্তৃপক্ষ যানবাহন থেকে টাকা তোলায়য় এগিয়ে থাকলেও কাজে পিছিয়ে। প্রতিদিন পৌরসভার পাঁচটি পয়েন্ট থেকে টাকা তুললেও টার্মিনালের সম্প্রসারণ ও সংস্কারের কাজ করছে না। তারা এতে করে ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

টার্মিনাল বর্ধিত অথবা নতুন বাস টার্মিনাল এবং ট্রাক ও অটোরিকশার জন্য আলাদা স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবি বাসমালিকদের।

বাসচালক মো. মিন্টু মিয়া ও সোহেল বলেন, টার্মিনাল নির্মাণের পর এখানে কোনো কিছুরই রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। ভবনটিতে ফাটল ধরে রয়েছে। শ্রমিকেরা বিশ্রাম নেবে, ভবনে এমন কোনো জায়গা বা রুম নেই। এছাড়া পুরো টার্মিনাল স্যাঁতস্যাতে পরিবেশ। যাত্রীদের বসার জায়গাও নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্টারম্যান বলেন, ‘এ টার্মিনাল থেকে শুধুমাত্র রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর রুটের একমাত্র লোকাল গাড়ি (আনন্দ পরিবহণ) ছেড়ে যায়। তবে এখানে কিছু সংখ্যক যাত্রী ওঠানামা করেন। বাকি সব রুটের গাড়ি এমনকি রাজধানীসহ দূরপাল্লার গাড়িও এখান থেকে ছাড়ে না।’

 

বাসমালিক আবুল কালাম বলেন, ‘জেলা বাস, মিনি-বাস মালিক সমিতির অধীনে তিন শতাধিক বাস রয়েছে। বর্তমানে যে টার্মিনাল রয়েছে তাতে ১০০ থেকে ১২০ টি বাস রাখা যায়। বাধ্য হয়ে বাকি বাসগুলো রাস্তায় রাখতে হচ্ছে। টার্মিনাল ভবনটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবনটির কোনো রুমই ব্যবহার উপযোগী নয়। এর আগে আমরা বহুবার টার্মিনাল বর্ধিত করার দাবি তুলেছি। শুধু আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।’

স্থানীয় বাসিন্দা নোমান হোসেন, সাকিল, আল ইমরান ও মাসুদ বলেন, একমাত্র বাস টার্মিনাল ছাড়াও শহরের ভেতরের রাস্তাগুলোতে অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। কোথাও কোথাও রাস্তার দুপাশে অটোরিকশা রাখায় সড়ক সংকুচিত হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল ও অফিসগামীরা সময়মতো পৌঁছাতে পারেন না।

অটোরিকশা চালক আক্তার হোসেন, মাইনুদ্দিন ও সবুজ বলেন,  উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার সিএনজিচালিত ও ছয় হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড নেই। পৌর কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করলেও স্টান্ড করে দিতে পারেনি।

রায়পুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক ইমরান খান বলেন, ‘রাস্তা থেকে বাস ছেড়ে যাওয়া ও রাস্তায় যাত্রী নামানোর কারণে শহরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সব বাস যাতে টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায় মালিকদের সঙ্গে কথা বলে সে ব্যবস্থা করা হবে। আর টার্মিনাল বর্ধিত করার ব্যাপারেও দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম