নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ রূপগঞ্জ থানায় পালটাপালটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

শনিবার রাতে উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িয়াছনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক সপ্তাহ পূর্বে বাড়িয়াছনি এলাকার বিভিন্ন স্থানে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাটের জন্য ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালফারাজ স্থানীয় যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়; কিন্তু সে কাউকে কিছু না বলে গত ৩ দিন পূর্বে ড্রেজার দিয়ে এলাকায় বালু ভরাটের কাজ শুরু করে।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যার দিকে যুবদল নেতা নয়ন খন্দকার, তুষার খন্দকার, অতুল ব্যাপারীসহ বেশ কয়েকজন ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের কাজে বাধা দেন। ড্রেজারের পাইপ কেটে ফেলেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সালফারাজ ও রাজিব আহত হন।

এদিকে এ ঘটনার জের ধরে রাত ৭টার দিকে যুবদল নেতা ইসমাইল মোল্লা মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে বাড়িয়াছনি এলাকায় একা পেয়ে যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালফারাজসহ কয়েকজন তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তার মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয় ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় পালটাপালটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালফারাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি এলাকায় বালু ভরাটের জন্য ড্রেজার বসিয়েছেন। ড্রেজারে বালু ফেলার কাজে কাকে সঙ্গে নেবে, কাকে নেবেন না সেটা তার ব্যাপার। কিছু দুষ্কৃতকারী আমার ড্রেজারে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। আমাকেসহ দুজনকে মারধর করে।

এ ব্যাপারে যুবদল নেতা নয়ন খন্দকার বলেন, বালু ফেলার আগে সালফারাজ আমাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন; কিন্তু সে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে বালু ভরাটের কাজ করছে। আমরা বালু ভরাটের ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি এলাকায় একজনকে মারধর করে তার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।