২৪ ঘণ্টায় এক উপজেলায় ৮ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা, নিহত ২

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৯ এএম

রাজশাহীর দুর্গাপুরে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আটজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে দুই নারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
পারিবারিক বিরোধ, কলহ ও সহিংসতার জেরে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ
দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, দুর্গাপুর বরাবরই আত্মহত্যাপ্রবণ এলাকা
হিসেবে চিহিৃত। রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে এ উপজেলায়।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পারিবারিক
কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করেন পাইকড়তলী গ্রামের ওয়াসিম আলীর স্ত্রী
জান্নাতুল ফেরদৌস (২৫)। একই সময়ে বিষপান করেন উপজেলার তেবিলা গ্রামের মো. রন্টুর স্ত্রী
তাহমিনা খাতুন (৩০)। তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও অবস্থার অবনতি হলে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) স্থানান্তর করা হয়। শনিবার বিকালে দুজনই মারা
যায়।
রামেকের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘দুজন তো মারা
গেছে। দুর্গাপুর থেকে আসা বিষপানের আরও তিন রোগীকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি।’
আত্মহত্যার চেষ্টাকারীরা হলেন, পানানগর গ্রামের ময়না বিবি (৪৫) ও আব্দুস
সাত্তার (৪৫), বেড়া গ্রামের রেজাউলের মেয়ে তানজিলা, কনপাড়া গ্রামের বিথি খাতুন (৩০),
দেবিপুর গ্রামের মোহনা (১৮), কাশেমপুর গ্রামের ইরিনা খাতুন (২৩) এবং সায়বাড় গ্রামের
হাবিবা খাতুন (১৫)।
রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতাল ও
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় তারা বাড়ি
ফিরেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান
বলেন, ‘কীটনাশক পান করে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজন রোগী ভর্তি হয়েছিল। এদের মধ্যে পাঁচজনের
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর
তিনজনকে দুর্গাপুরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আলী বলেন, ‘কীটনাশক পানে
আত্মহত্যার চেষ্টা ও মৃত্যুর ঘটনায় থানায় দুটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। তদন্ত
সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের এ সদস্য আরও বলেন, ‘নানা কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তবে
পারিবারিক কলহ ও সহিংসতা প্রধান কারণ।’