আ.লীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলমহালের মাছ হরিলুট

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ১০:২০ পিএম

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জয়কুমার বৈষ্ণব গংদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কামান বিল গ্রুপ জলমহালের কোটি টাকার মাছ লুট করে নিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার বিকাল পর্যন্ত দুই দিনে শত শত লোকজন পলো, জালসহ বিভিন্ন মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে জলমহালে লুটপাট চালায়। খবর পেয়ে দিরাই থাকা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জলমহালটি জেলা প্রশাসন থেকে উন্নয়ন স্কিমে ইজারা নেয় চরনারচর বি এম মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারাপ্রাপ্ত হলেও এটির নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে।
হাওড় এলাকার মৎস্যজীবীরা জানান, প্রভাবশালী এই মহল জলমহাল নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে জলমহাল নিয়ন্ত্রণের নামে বর্ষাকালে গোটা হাওড় নিয়ন্ত্রণ করেছেন। সাধারণ মানুষ হাওড়ে মাছ ধরতে গেলে প্রভাবশালীরা তাদের নিয়োজিত লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে বিতাড়িত করতো। সেই ক্ষোভ থেকেই সাধারণ মানুষ জলমহাল লুট করেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
জলমহালের অংশিদারদের একজন মতিউর রহামান জানান, আমি সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ মিয়ার সঙ্গে শেয়ার ছিলাম। সঙ্গে আরও আছেন জয় কুমার বৈষ্ণব, হাফিজুর রহমান তালুকদারসহ অনেকে। তবে শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত শত শত মানুষ জলমহালে লুটপাট চালিয়েছে। কারও কথা, কোনো দোহাই তারা শোনেনি, আমরা কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করব? তবে বিষয়টি পরিকল্পিত বলেও মনে করছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সনজিব সরকার বলেন, শুনেছি সাধারণ লোকজন জলমহালের মাছ ধরে নিয়েছে। তবে ইজারাপ্রাপ্ত কেউ কোনো কিছু বলেনি।