রাজস্থলীতে বন্যহাতির তাণ্ডব বেড়েই চলেছে

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ পিএম

রাঙামাটির রাজস্থলীতে বন্যহাতির তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে প্রতিনিয়তই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বন্যহাতির পাল। এতে বন্যহাতির হানায় ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয়দের।
বর্তমানে রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের মবইপাড়াসহ আশেপাশের এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে বন্যহাতি। বন্যহাতির আক্রমণে কলাবাগানসহ কৃষকদের বিস্তর ফলজবাগান ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তারা জানান, বন্যহাতির আক্রমণে সম্প্রতি একজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রাণের ভয়ে অনেকের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি বন্যহাতির আক্রমণে উসাচিং মারমা নামে স্থানীয় এক কৃষকের মৃত্যু হয়। সেদিন থেকে গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মবইপাড়া, হাজীপাড়া, তালুকদার পাড়াসহ আশপাশের লোকালয়ে ঢুকে কলা, ফলমূল ও শাকসবজির ফসল সাবাড় করে দিচ্ছে ৮-৯টি বন্যহাতি। বর্তমানে প্রতি রাতে আগুন জ্বালিয়ে, বাঁশ ফুটিয়ে, আতশবাজির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাগান ও ফসলি জমি পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা। হাতির আক্রমণের আশঙ্কায় দিনের বেলাতেও রাস্তায় হাঁটাচলা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় কৃষক সুমু মারমা জানান, তিনি কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কলাবাগান, মরিচ, বরইবাগান করেন। সম্প্রতি এসব ফসল হাতির পাল ধ্বংস করে দিয়েছে। এভাবে এলাকার বহু কৃষকের খেত ধ্বংস করে দিচ্ছে বন্যহাতি।
কাপ্তাই পাল্পউডবাগান বিভাগের রাজস্থলী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা তুহিনুর ইসলাম বলেন, হাতির বিচরণক্ষেত্র হলো তাদের অবস্থান থেকে ৮০ কিলোমিটার এলাকা। পানি ও খাবার থাকলে নিজেদের নিরাপদ মনে করে হাতি তাদের অবস্থানে বিচরণ করে। কিন্তু খাদ্যের অভাব হলে হাতি অবস্থানের বাইরে চলে যায়। তাই হাতি লোকালয়ে বা তার আশপাশে ঢুকে পড়লে হাতিকে উত্তেজিত করা যাবে না। মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে হবে।