কীর্তিনাশায় ডাকাতি: আরেকজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় আরও এক ডাকাতকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ নিয়ে এই ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পালং মডেল থানার পুলিশ।
আটকদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তারা হলো- মুন্সিগঞ্জের মহেষপুর এলাকার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে রাকিব গাজী (৩৮), একই জেলার কালিরচর এলাকার বাচ্চুর ছেলে রিপন (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর এলাকার মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান (৫০) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার হারুন তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার (৩০)। এদের মধ্যে রিপন ও সজিব তালুকদার গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। পরে তাদের ধাওয়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করে।
এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে ৫ জন আহত হন । পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় ৭ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
অন্যদিকে, ডাকাতদের ছোঁড়া গুলিতে ৫ জন আহত হয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনতাসির খান বলেন, ডাকাতদের গুলিতে আহত ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বাকি তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ৮ জন আহত ডাকাতের মধ্যে দুজন মারা গেছে। বাকি ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছে। ডাকাতির ঘটনায় একটি কাটা রাইফেল ও শর্টগানসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।