Logo
Logo
×

সারাদেশ

আয়নাঘর থেকে মুক্তির পর প্রথমবার বাবার কবর জিয়ারত করলেন মীর কাসেমপুত্র

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১২ পিএম

আয়নাঘর থেকে মুক্তির পর প্রথমবার বাবার কবর জিয়ারত করলেন মীর কাসেমপুত্র

আয়নাঘর থেকে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো কবর জিয়ারত করলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাশেম (ব্যারিস্টার আরমান)।

শুক্রবার ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের চালা গ্রামে পৈতৃক নিবাসে আসেন। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে চালা আহমাদিয়া সুলতানিয়া সামসুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশে বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে জিয়ারত করেন।

কবর জিয়ারত শেষে শত শত জনতার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমার পিতার মামলায় আমি একজন নিয়োজিত আইনজীবী ছিলাম। ওই মামলার একদম শেষ পর্যায়ে যখন শুনানি চলছে। ফাঁসি কার্যকরের ঠিক ২৩ দিন আগে আমাকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮ বছর আমাকে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে একটি অন্ধকার আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়। ওই আট বছর আমি জানতে পারিনি আমার পিতার কী হয়েছে। আমার পরিবার জানতে পারেনি আমি কি বেঁচে আছি না মারা গেছি। ছাত্রদের বিপ্লবের পর আমাকে মুক্ত করা হয়। এরপর আমি জানতে পারি যে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি আয়নাঘর থেকে বের হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আমার দুই চোখে ছানি পড়ে গিয়েছিল। আমি দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলাম। দেশে ফিরে আমি মানিকগঞ্জ আসি আমার পিতার কবর জিয়ারতের জন্য।

তিনি আরও বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা আমার পিতার অন্তরের জায়গা; এখানে উনার নাড়ি পোতা আছে। মানিকগঞ্জ নিয়ে উনার অনেক পরিকল্পনা ছিল, এই মানিকগঞ্জকে একটি আধুনিক নগর হিসেবে তৈরি করার জন্য স্বপ্ন দেখতেন। উনি স্বপ্ন দেখতেন মানিকগঞ্জকে স্যাটেলাইট সিটি হিসেবে তৈরি করার জন্য। উনি স্বপ্ন দেখতেন মানিকগঞ্জ থেকে রাজধানীতে অফিস করবেন।

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা উত্তর অঞ্চলের টিম সদস্য ও মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা জাকিরুল ইসলাম খান, হরিরামপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা লোকমান হোসেন, সেক্রেটারি মো. ফারুক হোসেন, ডা. সাহিদুর রহমান শহীদ, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. টিপু সুলতানসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, মানবতাবিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর ফাঁসি ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কার্যকর করা হয়।

২০১২ সালের ১৭ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারের পর থেকেই কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন মীর কাসেম। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুটি অভিযোগে মীর কাসেমের ফাঁসি ও আটটি অভিযোগে কারাদণ্ড হয়। এরপর তাকে কারাগার-২-এর ৪০ নম্বর কনডেমড সেলে স্থানান্তর করা হয়। সর্বশেষ সেখানেই ছিলেন তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম