Logo
Logo
×

সারাদেশ

বন্ধুর পাল্লায় পড়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী

Icon

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম

বন্ধুর পাল্লায় পড়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী

বন্ধুর পাল্লায় পড়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় ৫ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চরবড়লই এলাকায়।

আসামিদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য পুলিশ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

ফুলবাড়ী থানার ওসি মামুনুর রশীদ জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার পূর্ব ধনিরাম গেটের বাজার এলাকার একটি মেয়ের (২০) সঙ্গে মোবাইল ফোনে ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারী গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে মঈনুল হকের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে আলাপচারিতা হয় উভয়ের মধ্যে। এরই মধ্যে বুধবার পাশের চর সারডম (আরডিআরএস বাজার) এলাকার মজিনুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে যায় ওই তরুণী। সেখানে থাকা অবস্থায় ফোনে কথা হয় মঈনুল হকের সঙ্গে। বাড়ির সামনে আসার জন্য ওই তরুণীকে ফোনে ডাকা হয়।

একপর্যায় ওতপেতে থাকা মঈনুল হকের সহযোগীরা জোরপূর্বক জাপটে ধরে ভুক্তভোগীকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ যুবককে আটক করে।

আটকরা হলেন- ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা বালাটারী গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে মঈনুল হক (২২), একই এলাকার একরামুল হকের ছেলে হাসানুল হক (২০) উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই বাংলাবাজার এলাকার শাহাদৎ হোসেনের ছেলে ইয়াকুব আলী (২৫) একই ইউনিয়নের চর বড়লই হাজিটারী এলাকার ইলিমুদ্দিনের ছেলে লাল মিয়া (৩৮) ও আব্দুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা (২১)। অপর দুই আসামি হলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা এলাকার এরশাদুল হকের ছেলে আল-আমিন (২০) ও বাংলাবাজার এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে আতিয়ার হরমান (৩৪)। সবার বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।

ওই এলাকার  ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন বলেন, ধর্ষণের শিকার হয়েছে আমার এলাকার এক তরুণী বলে শুনেছি। পারিবারিকভাবে কেউ আমাকে জানায়নি।

নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোজাম্মল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজে বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তার মধ্যে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম