গোয়াইনঘাটে বেড়েছে তরমুজের চাষ

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫২ পিএম

সিলেটের গোয়াইনঘাটে আগের তুলনায় বেড়েছে তরমুজ চাষ। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে উপজেলার প্রায় দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। এতে খুশি কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদ করা হয়। গত বছর যা ছিল ২৩৫ হেক্টরে। সে হিসাবে চলতি মৌসুমে তরমুজের চাষবাদ বেড়েছে ২৩৫ হেক্টর জমিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাওর ও নিম্মাঞ্চলের কৃষকরা ফরাস,
মিষ্টি লাউ, সীম, শসার পাশাপাশি তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছেন। উপজেলার সবকটি হাওরেই এবার কম বেশি তরমুজ চাষ করা
হয়েছে। আগাম রোপন ও রোগ বালাই কম হওয়াতে প্রতিটি
এলাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে তরমুজের।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রির জন্য উঠছে তরমুজ। আকারভেদে
বিভিন্ন দামে ক্রয় করছেন ক্রেতারা। বড় বড় তরমুজের মূল্য ধরা হয়েছে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে ছোট তরমুজ পাওয়া যায় ১০০ টাকার মধ্যে।
বিক্রেতারা জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করছেন তারা। বেচাকেনাও
ভালো।
নলজুরি এলাকার কৃষক আব্দুস সোবহান মিয়া বলেন, ‘আমি আগে ফরাস সবজি চাষ
করতাম। এ বছর তরমুজ চাষ করেছি। প্রথম পর্যায়ে
পাঁচ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। খরচ বাদ দিয়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা লাভ হয়েছে। খেতে
থাকা অবশিষ্ট তরমুজ থেকে আরও লক্ষাধিক টাকা উপার্জন হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, ‘তরমুজ লাভজনক ফসল। প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ২ থেকে ৫ লাখ টাকার তরমুজ
বিক্রি করা যায়। কৃষকরা লাভবান হওয়াতে তরমুজ চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাষাবাদ থেকে বিক্রয় পর্যন্ত কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে
কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’