বাগেরহাটে সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু, আটক ৩

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

বাগেরহাটের কচুয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেন (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই নেতা।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দেপাড়া বাজার এলাকায় নিজ দলীয় দুপক্ষের সংঘর্ষে শওকত হোসেন, ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ও নিহতের ভাই মো. লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন। শওকতকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মো. লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেন।
নিহত শওকত হোসেন কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের ইমান উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে বিএনপির এই নেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেপাড়া বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও নিহতের স্বজনরা। এছাড়া বিক্ষুব্ধ জনতা হামলাকারী আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে রাখলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে হায়দারকে আটক করে।
নিহত শওকাত হোসেনের ভাই বিএনপি নেতা লিয়াকত হোসেন বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা করে। দীর্ঘ ৯ দিন চিকিৎসার পর আমার ভাই মারা গেল। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
কচুয়া থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। কচুয়া, বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি এখনো পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ আরও দুইজনকে আটক করেছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাব।