Logo
Logo
×

সারাদেশ

সখীপুরে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত পরিবার

Icon

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

সখীপুরে আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত পরিবার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে দেওয়ান শাহ আলম নামে এক অসহায় কৃষক আদম বেপারীর খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগীর দাবি, ভুয়া ভিসায় তাকে সৌদি আরবে পাঠান এক আদম ব্যবসায়ী। সেখানে জেল খেটে দেশে ফেরত আসতে হয়েছে তাকে। সলিশি বৈঠকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও অর্থ দিতে টালবাহানা করছেন ওই আদম ব্যবসায়ী।

দেওয়ান শাহ আলম উপজেলার কচুয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত নঈম উদ্দিনের ছেলে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে উপজেলার রামখাঁ উত্তর পাড়া গ্রামের আদম ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের সঙ্গে চুক্তি হয় শাহ আলমের। চুক্তি অনুযায়ী, কামরুলকে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন শাহ আলম। এর জেরে ২০২৩ সালের ১ জুন সৌদি যান ওই কৃষক। সৌদি পৌঁছে তিনি জানতে পারেন ওই ভিসায় কোনো কাজ নেই, তাকে ভুয়া ভিসায় পাঠানো হয়েছে। বৈধ কোনো কাগজপত্র না থাকায় কোম্পানি তাকে গ্রহণ করেনি এবং কাজের অনুমতিপত্রেরও (আকামা) ব্যবস্থা করেনি।

পরে শাহ আলমের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আদম বেপারিকে জানায়। তখন কামরুল বৈধ কাগজপত্র করার কথা বলে দুই দফায় আরও দুই লাখ টাকা নেন। টাকা নিয়েও কামরুল শাহ আলমকে কোনো বৈধ কাগজপত্র করে দিতে পারেনি। একপর্যায়ে দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। দীর্ঘদিন জেল খেটে দেশে ফেরত আসে তিনি।

দেশে এসে বিষয়টি নিয়ে সালিশি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কামরুল টাকা ফেরত দিবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, টাকা দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করছে এ আদম ব্যবসায়ী।

শাহ আলম বলেন, ‘কামরুল আমার পূর্ব পরিচিত। তাকে বিশ্বাস করে টাকা দেই। তিনি আমার সঙ্গে প্রতারণা করবেন কল্পনা করিনি। সাত লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েও বৈধ কাগজপত্র করে দিতে পারেননি তিনি। সালিশি বৈঠকে টাকা দেওয়া কথা স্বীকার করলেও তিনি এখন তা দিচ্ছেন না। পরিবার নিয়ে এখন আমার পথে বসার উপক্রম হয়েছে।’

সালিশি বৈঠকে অংশ নেওয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য রুমা আক্তার, মামুন সিকদার ও সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শাহ আলম একজন অসহায় মানুষ। কামরুল তাকে টাকা ফেরত দেবে বলে সালিশে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে কামরুল বলেন, ‘এ নিয়ে সালিশি বৈঠক হয়েছে। টাকা পরিশোধের জন্য আমাকে কিছু দিন সময় দেওয়া হয়েছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম