পুলিশের বিরুদ্ধে আসামিকে গ্রেফতার না করার অভিযোগ

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ এএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে গ্রেফতার না করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মামলার আসামি। এতে করে হুমকিতে রয়েছেন মামলার বাদি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছে পুলিশ। তাদের দাবি, আসামি আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
মামলার এজাহার ও বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর
উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চরগোসাই এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে বিমাকর্মী জিল্লুর রহমানকে
কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে মেহরাজ নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।
এ ঘটনার পরদিন মেহেরাজ, ছিদ্দিক উল্যাহ ও মিজানুর রহমানকে আসামি করে রামগতি থানায় একটি
হত্যাচেষ্টা মামলা করেন জিল্লুর।
ওই মামলার দুই ও তিন নাম্বার আসামি আদালত থেকে জামিন আনলেও এক নাম্বার
আসামি মেহরাজ জামিন আসেননি। উলটো পুলিশের সামনে চলাফেরা করছে তিনি। কিন্তু অজানা কারণে
পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছেন না।
এজাহারে আরও বলা হয়, মামলার পর অভিযুক্ত দুই নাম্বার আসামি মিজানুর রহমান
চক্রান্ত করে মূল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের দিয়ে জিল্লুর
রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ওই স্কুলের
সহকারি প্রধান শিক্ষক ও এলাকায় একজন চিহিৃত মামলাবাজ বলে বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন।
জিল্লুর রহমান বলনে, ‘পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে
পরিকল্পিতভাবে কুপিয়েছে। ন্যায় বিচার পেতে
আমি রামগতি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করি। কিন্তু মামলার চার মাস অতিবাহিত হলেও
পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করছে না। অথচ, সে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে ঘুরাফেরা
করছে। আসামিরা মামলা তুলে নিতে আমাকে চাপপ্রয়োগসহ গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে।
যে কারণে বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
অভিযোগের বিষয়ে মেহরাজ বলনে, ‘পূর্ব শত্রুতার কারণে জিল্লুর আমাদের বিরুদ্ধে
মামলাটি করেছে। এলাকায় এসে খোঁজ নিয়ে জানেন।’ এর বেশি কথা না বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুদ বলনে, ‘জিল্লুর রহমানের দায়ের
করা মামলাটি তদন্তাধীন। এ মামলার দুজন আসামি জামিনে আছেন। অন্য একজন আসামি পলাতক। তাকে
গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।