নারায়ণগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ পোশাক শ্রমিকদের

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
-67b31be1d31df.jpg)
শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং বন্ধ ঘোষণা করা কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ইউরো টেক্স লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে নগরীর চাষাড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার রপ্তানীমুখী কারখানাটিতে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কাজ করে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি এক মাসের বকেয়া বেতন, ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। ওই সময় কারখানায় ভাঙচুরও চালানো হয়।
পরে কারখানার কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে চাকরিচ্যুত ২৮ শ্রমিককে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে শ্রমিকরা মামলা প্রত্যাহার ও ছাঁটাই শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মালিকপক্ষ কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। এতে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা মামলা প্রত্যাহার, শ্রমিক ছাটাই বন্ধ এবং কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে।
কারখানাটির সুইং অপারেটর মিঠু চন্দ্র দাস বলেন, কিছুদিন আগে একটা আন্দোলন হয়েছিলো। ওই আন্দোলনে শ্রমিকদের নামে মামলা হয়েছে। শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ হয়রানি করছে। মাস্তানদের দিয়ে শ্রমিকদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। মামলা প্রত্যাহার করে পুলিশি ও মাস্তানদের দ্বারা হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে হঠাৎ করেই গার্মেন্টস বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে। শ্রমিকদের দাবি কারখানা খুলে দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে পুলিশ হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা গার্মেন্টস ও সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি এমএ শাহীন বলেন, কারখানাটির শ্রমিকরা তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারে না। কথা বলতে গেলেই চাকরিচ্যুত করা হয়। প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিকের গত মাসের বেতন এখনো দেয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক রাজীব চন্দ্র ঘোষ বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ওই কারখানার শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা করে আসছিল। সেই কারণে মালিকপক্ষ মামলা করে। আর মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছে।
ফতুল্লা থানার ওসি মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আমরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে বুঝিয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যায়।