ইউপি সদস্যের বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কৃষিজমি

আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়াা গ্রামে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। এতে করে বিপাকে পড়ছেন ওই ইউপি সদস্যের প্রতিবেশী জমির মালিকেরা। ভাঙন দেখা দিয়েছে জমিতে। পাশাপাশি হুমকিতে পড়েছে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের খুঁটি। ওই ইউপি সদস্যের ভয়ে মুখ খুলতে সাহসও পাচ্ছে না স্থানীয়রা।
স্থানীয় ওই ইউপি সদস্যের নামে মো. আল আমিন। তিনি পতিত আওয়ামী লীগের রাজনীতির
সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রায় তিন বছর যাবৎ এই ইউপি সদস্য
কৃষি জমি থেকে বালু তুলছেন। এতে করে কৃষি জমি হয়ে যাচ্ছে পুকুর। এতে দিন দিন কমে যাচ্ছে
ফসলি জমি। বিষয়টি জেনেও নিশ্চুপ প্রশাসন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার তারুয়া গ্রামের তারুয়া-নাওঘাট সড়কের
পাশে একটি ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছে আল আমিন। প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে
মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয় কৃষকেরা।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আল আমিন বলেন, ‘আমি আমার নিজস্ব জমি
থেকে মাটি কাটছি। এখানে কারো কোনো কথা বলার নাই। আমার জমি আমি যা ইচ্ছা করতে পারি।
এখানে কাউকে জিঞ্জাসা করার প্রয়োজন মনে করি না।’
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিব আব্দুল্লাহ বলেন,
‘কৃষি জমিতে পুকুর খনন অথবা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয়। উপজেলা প্রশাসনের
সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, ‘ফসলি জমি
কেটে বালু বিক্রি সম্পূর্ণ বেআইনি। এ ধরণের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি
ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’