নবাবগঞ্জে জমির বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে মো. মফজেল (৩৫) নামে এক যুবককে টেঁটা, শাবল, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা সীমান্তবর্তী মধুরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মফজেল নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নে দড়িকান্দা গ্রামের মো. সোবান শেখের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগে জানা যায়, ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ক্রয় করা জমির চৌহদ্দি নিয়ে স্থানীয় ক্ষমতাশালী খালাসী পরিবারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। মীমাংসা করতে গত বছর ৪ আগস্ট গ্রামে সালিশ বসে। সালিশে খালাসী পরিবার জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের লোকদের মারধর করে। মফজেল জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিল। এ ঘটনায় দুপক্ষই মামলায় জড়ান। ওই মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত হয়ে নিহত মফজেল ফেরারি জীবনযাপন করছিলেন।
নিহতের আত্মীয় কালাম মোল্লা জানান, শনিবার মফজেল উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুরচর এলাকার চঞ্চলের বাড়িতে ছিলেন। চঞ্চল রাত ৯টার দিকে আমাকে ফোনে জানান- খালাসীরা মফজেলকে ধাওয়া করে বাঁশবাগানের দিকে নিয়ে গেছে, সাড়াশব্দ পাচ্ছি না। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে খোঁজ করে মানিক সরকারের বাড়ির পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখানেই মফজেল মারা যান। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বাবা সোবান শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, এলাকার প্রভাবশালী খালাসীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সোহরাব আল-হাসান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।