আ.লীগ ঘরানার অভিযোগে বগুড়া যুবদলের ৫ নেতার সব পদ স্থগিত

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৫ পিএম

বগুড়ায় নবগঠিত জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পাঁচ নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ থেকে এসেছে- এমনটা পত্র-পত্রিকা ও ফেসবুকে প্রকাশ হওয়ায় কেন্দ্রীয় যুবদল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন- বগুড়া জেলা যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজাইল ইসলাম সুমন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. ইনছান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব সেলিম, সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা ও নির্বাহী সদস্য সজল হোসাইন রহমত।
রোববার যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বগুড়া জেলা যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সুজাইল ইসলাম সুমন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. ইনছান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব সেলিম, সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ রানা ও নির্বাহী সদস্য সজল হোসাইন রহমতের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা দলীয় সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। তবে তাদের পদ স্থগিত করার কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া জেলা যুবদলের গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির উল্লিখিত পাঁচ নেতা ছাড়াও কয়েকজন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া এদের জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। কয়েকজনকে হাইব্রিড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
যুবদলের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতারা এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে প্রমাণসহ তথ্য দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পত্রিকায় বগুড়া জেলা যুবদলের কমিটিতে আওয়ামী লীগ ঘরানার কয়েকজন থাকার বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হয়।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান জানান, সাংবাদিক ও ফেসবুক ব্যবহারকারীরা খোঁজখবর না নিয়ে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায় কয়েকজন যুবদল নেতাকে আওয়ামী লীগ ঘরানার বলে লেখালেখি করেন। এর সত্যতা যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় যুবদল আপাতত পাঁচ নেতার দলীয় সব পদ স্থগিত করেছেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না মিললে তাদের আবারও পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।