Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাংলাদেশে ঢুকে পাঁচ কৃষককে পেটাল বিএসএফ

Icon

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:২১ পিএম

বাংলাদেশে ঢুকে পাঁচ কৃষককে পেটাল বিএসএফ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দবকসী সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে পাঁচ কৃষককে পিটিয়েছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফের সদস্যরা।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই সীমান্তের ৯৩০ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৮ নম্বর সাব পিলারের পাশে আনুমানিক পাঁচশ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিএসএফকে ধাওয়া দিলে তারা দৌড়ে কাঁটাতারের ভিতরে চলে যায়। শতশত জনতা লাঠিসোটা হাতে সীমান্তে অবস্থান করে। খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে সীমান্ত থেকে সরিয়ে দেয়।

বিএসএফের হামলায় আহত পাঁচ কৃষক হলেন- কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের মৃত ইসরাইলের ছেলে সামছুল হক (৫৫), মৃত খোকা মাহমূদের ছেলে জাবেদ আলী (৬০), মোন্নাফ হোসেনের ছেলে কাশেম আলী (৪৮), মৃত মুকুল ইসলামের ছেলে রিপন মিয়া (৩৫) ও কাশেম আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৮)।

প্রত্যক্ষদর্শী রুবেলসহ আহত তাজুল ইসলাম ও সামছুল হক জানান, দুপুরে তারা ১০-১২ জন কৃষক সীমান্তের শূন্য রেখার কাছাকাছি তাদের চাষ করা ভুট্টা, মরিচ ও আলুর খেতে কাজ করছিলেন। এ সময় ভারতের নারায়ণগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের ৮-১০ জন সদস্য ভারতীয় হরিদাশ খামার গ্রামের কাঁটাতারের ৩নং গেট খুলে শূন্যরেখা পেরিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে।

বিএসএফ শূন্য রেখা অতিক্রম করায় কৃষকরা তাদেরকে নিষেধ করেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা কৃষকদের অকথ্য গালাগালি করতে করতে তাদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠি দিয়ে পেটানো শুরু করে। প্রাণভয়ে কৃষকরা গ্রামের দিকে দৌড় দিলে বিএসএফ  সদস্যরা তাদের পিছু নিয়ে গ্রামের ভিতরে ঢুকে পরে। পরে গ্রামবাসী একজোট হয়ে বিএসএফদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে কাঁটাতারের ভিতরে চলে যায়।

এদিকে সীমান্তের ওপারে দুটি পিকআপে আরও ৫০-৬০ জন বিএসএফ সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশের গ্রামবাসীরা লাঠিসোটা নিয়ে সীমান্তে জড়ো হতে থাকে। 

খবর পেয়ে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধীন গোরকমণ্ডল বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার দেলবর হোসেনসহ বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে শূন্য লাইন থেকে সরিয়ে দেন।

লালমনিরহাট-১৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাকিল আলম সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়ার পর সত্যতা পেলে প্রতিবাদ জানানো হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম